পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* o প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান 4. এবার আমরা বঙ্গসাহিত্যে অবদানের যে তালিকা দিলাম, তাহা নহে এবং তাহা গুণগরিষ্ঠও বটে। আমরা বঙ্গভাষা ও সাহিত্যে দৌলত কাজি ও আলোয়াল কবির কাব্যের কথা মাত্র লিখিয়াছিলাম, কিন্তু ডক্টর এনামুল হক সাহেবের গবেষণার ফলে আরও অনেকগুলি কবির সন্ধান মিলিয়াছে - সংস্থত সুললিত শব্দ বঙ্গসাহিত্যে আমদানী করিবার কৃতিত্ব প্রধানতঃ আরাকান রাজসভার মুসলমান কবিদের। এই ক্ষেত্রে ভারতচন্দ্রের বাহান্তরীই সৰ্ব্বজন স্বীকৃত, কিন্তু উক্ত কবির ‘বিদ্যাসুন্দর’-এর— ঠিক একশত বৎসর পূৰ্ব্বে (১৭৫২ খৃঃ) আলোয়ালের ‘পদ্মাবতী’ (১৬৫২খৃঃ) ভগীরথের ন্তায় খাদ কাটিয়া সেই শ্রুতিমধুর ধারাটি বহাইয়া দেয়। সুতরাং তিনিই সংস্কৃত শব্দ-বহুল কাব্যরচনার ক্ষেত্রে অগ্রদূত, তাহার পূৰ্ব্বে কাশীদাসের ‘মহাভারত’-এ ও মানিক রায়ের ‘ধৰ্ম্মমঙ্গল'-এ এইরূপ সংস্কৃত শব্দাবলীর একটা মুর শোনা গিয়াছিল, কিন্তু আলোয়াল ওস্তাদ গায়কের স্তায় সংস্কৃত আভিধানিক-বিদ্যা সম্পূর্ণরূপে আয়ত্ত করিয়া যে উচ্চ মধুবৰ্ষা সুর-লহরীর সষ্টি করিলেন, তাহ পরবত্তীকালে সমস্ত বঙ্গসাহিত্যকে তরঙ্গতি করিয়া ফেলিল। আশ্চর্যের বিষয় এই যে—মুসলমান কবিরাই এক্ষেত্রে অগ্রণী হইয়াছিলেন i) V এপর্যন্ত সৈয়দ মৰ্ত্ত জা, শেখ কমরালী, নসির মাহমুদ, ফকির হবিব, শেখ ফতর্ণ, শেখ জালাল, শেখ ভিকন, শেখ লাল, সালেহবেগ প্রমুখ কয়েকজন মুসলমান কবির রাধাকৃষ্ণ-বিষয়ক পদাবলী আমরা আবিষ্কার করিয়াছিলাম। পূৰ্ব্বোক্ত কবিগণ ছাড়াও অন্তান্ত মুসলমান কবিদের সেইরূপ পদ পাইয়াছি, কিন্তু ডক্টর এনামুল হক ষাট-সত্তরজন মুলসমান পদকৰ্ত্তার সন্ধান পাইয়াছেন বলিয়া লিখিয়াছেন, —কারবালার যুদ্ধ-ক্ষেত্রের করুণ কাহিনী, লায়লী মজনু, জ্ঞান-প্রদীপ প্রভৃতি যোগশাস্ত্র-সম্বন্ধীয় কতকগুলি পথি আমরা পাইয়াছ। ফয়জুল্লার গোরক্ষ