পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বাঙ্গল সাহিত্যে মুসলমানের অবদান br)


> ------- ------------------------------------------------------------------------------ - -ے -اے-اے----------------------------------------------------------------

মুসলমান কবিদের শ্ৰেষ্ঠ অবদান গল্প-গাথা প্রাচীন বঙ্গসাহিত্যে মুসলমানদের দান কখনই উপেক্ষণীয় নহে, তাহা সেই সাহিত্যের একটা সুবৃহৎ অংশ জুড়িয়া আছে, কিন্তু তথাপি যে-সকল কাব্যের উল্লেখ করিলাম, সেগুলি পড়িয়া একথা বলিতে ইচ্ছা হয় না যে, এই অবদান প্রথম শ্রেণীর । ‘পদ্মাবৎ’ কাব্য অশেষ পাণ্ডিত্য সত্ত্বেও মুকুন্দরামের ‘চণ্ডী’ অথবা ভারত চন্দ্রের ‘বিদ্যাসুন্দর’-এর মত শ্রেষ্ঠ আসনের দাবী করিতে পারে না, বড়জোর বংশদাস, নারায়ণ দেব অথবা বিজয় গুপ্তের "পদ্মপুরাণ’-এর মত একটা স্থান পাইলেও পাইতে পারে। সুতরাং এই কাব্যের প্রতিষ্ঠা গজ-দন্তে সুবর্ণ অক্ষরে লিখিয়৷ রাখিবার মত নহে। ‘লোর চন্দ্রানী’, ‘সতীময়না” কাব্যের যশ: আমরা মুরবিয়ানা করিয়া প্রচার করিতে পারি—উৎসাহ বদ্ধনের জন্ত, কিন্তু যদিও মাঝে মাঝে সেই সকল কাব্যের কবিত্ব হঠাৎ বিদ্যুৎফুরণের মত চোখ ধাধিয়া চলিয়া যায়, কিন্তু তারপরই আঁধার ও বাস্তবতার নীরস ক্ষেত্রে পীড়াদায়ক অলঙ্কার-শাস্ত্রের অত্যুক্তি। এই লেখকদের কাহাকেও মহাকবি : বলিয়া আমরা জয়ন্তী গাহিয়া অভ্যর্থনা করিতে পারি না,— কাব্যগুলিতে অনেক ঐতিহাসিক ও সামাজিক, তথ্যের ইঙ্গিত আছে, যার জন্ত কোন গবেষণামূলক নিবন্ধ লিখিবার সময় তাহার! আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করিতে পারে। তাহাদের স্থানে স্থানে পাণ্ডিত্য অতি উচ্চ, ঘাড় বাকাইয়া উদ্ধে চাহিয়া সেই পাণ্ডিত্যের উচ্চ-শৃঙ্গ দেখিতে হয়, কিন্তু সে কৌতুহলই বা কতক্ষণ থাকে? সৈয়দ মর্ভুজ বা আলোয়ালের রাধাকৃষ্ণ-বিষয়ক পদ লইয়া, সরলভাবে বড়াই করিবার বিশেষ اسسس مياه