পাতা:প্রায়শ্চিত্ত ১৯২০ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রায়শ্চিত্ত SS লোকজনদের তফাত করেই চলে আসছি । প্রতাপাদিত্য। হোসেন যদি ফাকি দেয় ? পাঠান। তোবা! সে তেমন বেইমান নয়। মহারাজ, আমি আমার শির জামিন রাখলুম। প্রতাপাদিত্য । আচ্ছা, এইখানে হাজির থাকো, তোমার ভাই ফিরে এলে বকশিশ মিলবে । ( পাঠানের বাহিরে গমন ) এটা যাতে প্রজারা টের না পায় সে চেষ্টা করতে হবে। মন্ত্রী । মহারাজ, এ কথা গোপন থাকবে না। প্রতাপাদিত্য । কিসে তুমি জানলে ? মন্ত্রী । আপনার পিতৃব্যের প্রতি বিদ্বেষ আপনি তো কোনোদিন লুকোতে পারেন নি। এমন-কি আপনার কন্যার বিবাহেও আপনি তাকে নিমন্ত্রণ করেন নি – তিনি বিনা নিমন্ত্রণেই এসেছিলেন। আর আজ আপনি অকারণে তাকে নিমন্ত্রণ করলেন, আর পথে এই কাগুটি ঘটল, এমন অবস্থায় প্রজারা আপনাকেই এর মূল বলে জানবে। প্রতাপাদিত্য । তা হলেই তুমি খুব খুশি হও । না ? মন্ত্রী । মহারাজ, এমন কথা কেন বলছেন ? আপনার ধর্ম-অধৰ্ম পাপপুণ্যের বিচার আমি করি নে, কিন্তু রাজ্যের ভালোমন্দর কথাও যদি আমাকে ভাবতে না দেবেন তবে আমি আছি কী করতে ? কেবল প্রতিবাদ করে মহারাজের জেদ বাড়িয়ে তোলবার জন্তে ? க் প্রতাপাদিত্য । আচ্ছা, ভালোমন্দর কথাটা কী ঠাওরালে শুনি । মন্ত্রী। আমি এই কথা বলছি, পদে পদে প্রজাদের মনে অসন্তোষ বাড়িয়ে তুলবেন না। দেখুন, মাধবপুরের প্রজারা খুব প্রবল এবং আপনার বিশেষ বাধ্য নয় । তারা রাজ্যের সীমানার কাছে থাকে, পাছে আপনার প্রতিবেশী শত্রুপক্ষের সঙ্গে যোগ দেয় এই ভয়ে তাদের গায়ে হাত তোলা যায় না। সেইজন্য মাধবপুর-শাসনের ভার যুবরাজের উপর দেবার কথা