পাতা:প্রায়শ্চিত্ত ১৯২০ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রায়শ্চিত্ত 8 و یا ভাগবতের স্ত্রীর প্রবেশ স্বরম। ভোর রাত্রে আমি ষে টাকা অার কাপড় পাঠিয়েছি তা তোদের হাতে গিয়ে পৌচেছে তো ? ভাগবতের স্ত্রী। পৌচেছে মা, কিন্তু তাতে আমাদের কত দিন চলবে ? তোমরা আমাদের সর্বনাশ করলে । স্বরমা। ভয় নেই কামিনী ! আমার যতদিন খাওয়া-পরা জুটবে তোদেরও জুটবে। আজও কিছু নিয়ে যা । কিন্তু এখানে বেশিক্ষণ থাকিস নে । [ উভয়ের প্রস্থান মহিষী ও বামীর প্রবেশ মহিষী। এত বড়ো একটা কাগু হয়ে গেল, আমি জানতেও পারলুম না ! বামী। মহারানীমা, জেনেই বা লাভ হত কী ? তুমি তো ঠেকাতে পারতে না । মহিষী। সকালে উঠে আমি ভাবছি হল কী— জামাই বুঝি রাগ করেই গেল। এ দিকে যে এমন সর্বনাশের উদযোগ হচ্ছিল তা মনে আনতেও পারি নি। তুই সে রাত্রেই জানতিস, আমাকে ভঁাড়িয়েছিলি। বামী। জানলে তুমি যে ভয়েই মরে যেতে। তা মা, আর ও কথায় কাজ নেই— যা হয়ে গেছে সে হয়ে গেছে । মহিষী। হয়ে চুকলে তো বঁাচতুম— এখন যে আমার উদয়ের জন্তে उछम्न श्टझ । বামী। ভয় খুব ছিল কিন্তু সে কেটে গেছে। মহিষী। কী করে কাটল ? বামী। মহারাজার রাগ বউরানীর উপর পড়েছে। তিনিও আচ্ছা মেয়ে বা হোক! আমাদের মহারাজের ভয়ে যম কাপে, কিন্তু ওঁর ভয়ডর