পাতা:প্রায়শ্চিত্ত - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

W58 প্রায়শ্চিত্ত ভাগবতের স্ত্রীর প্রবেশ সুরমা । ভোর রাত্রে আমি যে টাকা আর কাপড় পাঠিয়েছি তা তোদের হাতে গিয়ে পৌচেছে তো ? ভাগবতের স্ত্রী । পৌচেছে মা, কিন্তু তাতে আমাদের কত দিন চলবে ? তোমরা আমাদের সর্বনাশ করলে । সুরমা । ভয় নেই কামিনী । আমার যত দিন খাওয়াপরা জুটবে তোদেরও জুটবে । আজও কিছু নিয়ে যা । কিন্তু, এখানে বেশি ক্ষণ থাকিস নে । [ উভয়ের প্রস্থান মহিষী ও বামীর প্রবেশ মহিষী। এত বড়ো একট। কাণ্ড হয়ে গেল, আমি জানতেও পারলুম না ! বামী । মহারানীমা, জেনেই বা লাভ হত কী ? তুমি তো ঠেকাতে পারতে না । মহিষী। সকালে উঠে আমি ভাবছি হল কী— জামাই বুঝি রাগ করেই গেল। এ দিকে যে এমন সর্বনাশের উদযোগ হচ্ছিল তা মনে আনতেও পারি নি। তুই সে রাত্রেই জানতিস, আমাকে ভাড়িয়েছিলি । বামী । জানলে তুমি যে ভয়েই মরে যেতে । তা মা, আর ও কথায় কাজ নেই – যা হয়ে গেছে সে হয়ে গেছে। মহিষী ৷ হয়ে চুকলে তো বাচতুম— এখন যে আমার উদয়ের জন্যে ভয় হচ্ছে । বামী । ভয় খুব ছিল, কিন্তু সে কেটে গেছে। মহিষী। কী করে কাটল ? বামী । মহারাজার রাগ বউরানীর উপর পড়েছে। তিনিও আচ্ছা মেয়ে যা হোক! আমাদের মহারাজের ভয়ে যম কাপে কিন্তু ওঁর ভয়ডর