পাতা:প্রায়শ্চিত্ত - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ყbr প্রায়শ্চিত্ত প্রতাপাদিত্য । আর, বউমাকে বোলো, তিনি আমাকে একেবারেই ভয় করেন না । দীর্ঘকাল তাকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে বলেই এ রকম ঘটতে পেরেছে, কিন্তু তিনি জানতে পারবেন, স্পর্ধ প্রকাশ করা নিরাপদ নয় । তিনি মনে রাখেন যেন, আমার রাজবাড়ি আমার রাজত্বের বাইরে নয় । [ উভয়ের প্রস্থান মহিষী ও বামীর প্রবেশ মহিষী। ওষুধের কী করলি ? বামী । সে তো এনেছি— পানের সঙ্গে সেজে দিয়েছি। মহিষী । খাটি ওষুধ তো ? বামী । খুব খাটি । মহিষী । খুব কড়া ওষুধ হওয়া চাই, এক দিনেই যাতে কাজ হয়। মহারাজ বলেছেন, কালকের মধ্যে যদি মুরমা বিদায় না হয় তা হলে উদয়কে মৃদ্ধ নির্বাসনে পাঠাবেন । আমি যে কী কপাল করেছিলুম ! বামী। কড়া ওষুধ তো বটে। বড়ো ভয় হয় মা, কী হতে কী ঘটে । মহিষী । ভয়ভাবনা করবার সময় নেই বামী । একটা কিছু করতেই হবে । মহারাজকে তো জানিস, কেঁদেকেটে মাথা খুড়ে তার কথা নড়ানো যায় না । উদয়ের জন্যে আমি দিনরাত্রি ভেবে মরছি। ওই বউটাকে বিদায় করতে পারলে, তবু মহারাজের রাগ একটু কম পড়বে। ও যেন ওঁর চক্ষুশুল হয়েছে। বামী। তা তো জানি। কিন্তু, ওষুধের কথা তো বলা যায় না। দেখো, শেষকালে মা, আমি যেন বিপদে না পড়ি। আর, আমার বাজুবন্দর কথাটা মনে রেখো।