পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/১৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

}\e6 প্রেমিক-গুরু SAA AA ASASASA AAA AAAA S AAAAA SAAAAAeeS eeeAAA SAS S SAMA AeSeAeAMAMA S A S A SAS SSAS SSAS SSAS কুলাচার ব্যতিরেকে কলিতে কোন মন্ত্র সিদ্ধ হইবে না। বাস্তবিক কলির ভোগ-পরায়ণ জীব কামের কবল হইতে উদ্ধার হইতে না পারিলে, কিরূপে ধৰ্ম্মরাজ্যে প্রবেশ করিবে। তাই তাহার কুলসাধনবলে কামমুক্ত হইয়া ভাব রাজ্যে প্রবেশ করে । কৰ্ত্তা-ভঞ্জ প্রভৃতি বৈষ্ণব-শাখাসম্প্রদায়গুলির ঈশ্বর, মুক্তি, সংযম, ত্যাগ, প্লেম প্রভৃতি বিষয়ক কয়েকটা কথার উল্লেখ করিলেই পাঠক আমাদের পূৰ্ব্বোক্ত কথা সহজে বুঝিতে পারিবেন। ঐ সকল সম্প্রদায়ের লোকে ঈশ্বরকে “আলেকূলতা’ বলিয়া নির্দেশ করে । বোধ হয়, সংস্কৃত “অলক্ষ্য হইতে “আলেকৃ” কথাটার উৎপত্তি হইয়াছে। ঐ আলেক” শুদ্ধসত্ত্ব-মানবমনে প্রবিষ্ট বা প্রকাশিত হইয়া “কৰ্ত্তা’ বা গুরুরূপে আবিভূত হন। ঐরূপ মানবকে তাহারা “সহজ” উপাধি দিয়া থাকেন। যথার্থ গুরুভাবে ভাবিত মানবই ঐ সম্প্রদায়ের উপাস্ত বলিয়া নির্দিষ্ট হওয়ায়, উহার নাম কৰ্ত্তা-ভজা হইয়াছে। তাহার দেবদেবী-মূর্ত্যাদির অস্বীকার না করিলেও, কাহারও বড় একটা উপাসনা করে না । সকলে ঈশ্বরের "অরুপরূপের” উপাসনা করে । দেহ মন প্রাণ দিয়া গুরুর উপাসনা করাই ইহাদের প্রধান সাধন ; যখন ভারতে দেবদেবীর উপাসনা আদেী প্রচলিত হয় নাই,সেই উপনিষদের কাল হইতেই গুরু বা আচার্য্যের উপাসনা প্রবৰ্ত্তিত বলিয়া বোধ হয় । কারণ উপনিষদেই রহিয়াছে “আচাৰ্য্যং মাং বিজানীয়াং !” ভারতে শুরু বা আচার্য্যের উপাসনা অতীব প্রাচীন। মুতরাং মানুষ গুরুর পূজা করিয়া, তাহারা কোনও শাস্ত্রবিরুদ্ধ কাৰ্য্য করে না। "আলেকূলতার” ও বিশুদ্ধ মানবে অাবেশ সম্বন্ধে তাহারা বলে-- আলেক্ষে আসে, আলেকে যায় । আলেকের দেখা কেউ না পায় ॥