পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/২৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন্মুক্তি &ፃፃ ব্ৰহ্মজ্ঞের নিকট কালী, বিষ্ণু, শিব প্রভৃতি সমান আদর প্রাপ্ত হইয়া থাকেন । সাধারণ লোকে শালগ্রাম শিলাকে নারায়ণ মনে করে, কিন্তু ব্ৰহ্মজ্ঞের নিকট সকল শিলাই নারায়ণ, সাধারণ লোক তুলসীবৃক্ষকে পবিত্র মনে করে, কিন্তু ব্ৰহ্মজ্ঞানী বৃক্ষমাত্রকেই তুলসীর ন্যায় পবিত্র জ্ঞান করেন ; সাধারণ লোকে গঙ্গাকে পুণ্যনদী মনে করে, কিন্তু ব্রহ্মবিদের নিকট সকল নদীই গঙ্গাসদৃশ। সুতরাং যাহারা নারায়ণশিলাকে লাথি মারিয়া কিম্বা রমজান চাচার পাচিত পক্ষীবিশেষের মাংস ভক্ষণ করিয়া ব্ৰহ্মজ্ঞানের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করে, তাহারা কিরূপ ব্রহ্মবিৎ তাহ ব্যাস-বশিষ্ঠ-জৈমিনিপতঞ্জলির বংশাবতংস হিন্দুগণের বুঝিবার শক্তি নাই । ভগবান, শঙ্করাচাৰ্য্য তদীয় স্থাপিত মঠে শিব, বিষ্ণু, শক্তি প্রভৃতির মূৰ্ত্তিস্থাপন এবং ভক্তিগদগদচিত্তে গঙ্গা, মনসার পর্য্যন্ত স্তোত্র রচনা করিয়া ব্ৰহ্মজ্ঞানীকে কি নাস্তিকতা শিক্ষা দিয়া গিয়াছেন ?—হায়রে । সকলই কালের প্রভাব । সমাজের স্বেচ্ছাচারিতা এবং উচ্চ জ্বলতাই এইরূপ সৰ্ব্বনাশের মূলীভূত কারণ, সন্দেহ নাই। যাহারা তত্ত্ব-জ্ঞান বিচারপূর্বক ব্রহ্মে আত্মস্বরূপ উপলদ্ধি করিয়াছেন, কিম্বা প্রেম-ভক্তির অমৃতধারায় ভাসিয়া যাইয়া ইষ্টচরণে লীন হইয়াছেন, তিনিই ব্রহ্মবিং—তিনিই জীবন্মুক্ত ৷ মন, বাক্য ও কৰ্ম্ম এই তিনটী বিষয় যে জ্ঞানে লয়প্রাপ্ত হয়, তাহার নাম ব্রহ্মজ্ঞান । যথা – একাকী নিস্পৃহঃ শাস্তশ্চিন্তানিদ্রাবিবর্জিতঃ । বালভাব-স্তথাভাবে ব্ৰহ্মজ্ঞানং ততুচ্যতে ॥ w —জ্ঞান-সঙ্কলিনী তন্ত্র । যে জ্ঞানে জীব নিঃসঙ্গ, নিস্পৃহ, শাস্ত, চিস্ত ও নিদ্রা-বিবজ্জিত হয়, এবং বালকের স্নায় স্বভাববিশিষ্ট হয়, সেই জ্ঞানকে ব্ৰহ্মজ্ঞান বলে। সুতরাং