পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/৩০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রেমিক-গুরু جس3b বুঝিয়া উঠিতে না পারিয়া আপন শিক্ষার তুলনায় মতামত প্রকাশ করে। কেহ বা সাধুর সৌভাগ্যসম্মানে ঈর্ষান্বিত হইয়া মহাপুরুষদিগের অযথা কুৎসা প্রচার করিয়া থাকে, কিন্তু তাহারা জানে না যে, তাদৃশ মহাত্মার কৃপা দেবতাদিগেরও বাঞ্ছনীয়। যথা ঃ বিচারেণ পরিজ্ঞাতস্বভাবস্যোদিতাত্মনঃ। অনুকম্প্যা ভবন্তীহ স্তক্ষাবিঞ্চিন্দ্র শঙ্করাঃ ॥ —যোগবাশিষ্ট । ব্রহ্মবিচার দ্বারা নিজস্বভাব জ্ঞাত হইলে পরমাত্মায় প্রকাশ যাহার সম্বন্ধে হয়, তদ্রুপ আত্মবিৎ জীবন্মুক্তের দয়া ব্ৰহ্মা, বিষ্ণু, ইন্দ্র, শিব প্রভৃতি, দেবতারাও অ কাজক্ষা করেন । জীবন্মুক্ত ব্যক্তিই বিদেহকৈবল্য অর্থাৎ দেহান্তে নিৰ্ব্বাণমুক্তি লাভ করিয়া থাকেন। মুমুক্ষুব্যক্তি মৃত্যুবাসরে দেহ হইতে উৎক্রান্ত হইয় ক্রমশঃ আত্মস্বরূপে লীন হইয়া নিৰ্ব্বাণ লাভ করেন, ভক্ত অর্থাৎ সগুণ ব্রহ্মোপাসকগণ দেহাস্তে ঈশ্বরলোকে বাস করেন, তৎপরে কল্পাস্তে নিৰ্ব্বাণমুক্তি লাভ করিয়া থাকেন। কিন্তু ব্রহ্মবিৎ পুরুষের স্বল্প ও কারণদেহ বিনষ্ট হওয়ায় রক্তমাংসের দেহধারী হইয়াও তিনি আত্মস্বরূপে অবস্থিতি করেন,—তাই তিনি জীবন্মুক্ত। সুতরাং তাহার স্থূলদেহ নাশে অঙ্গ কোন প্রকার দেহ না থাকায় উৎক্রাস্তি হয় না, একেবারে নিৰ্ব্বাণ লাভ করিয়া থাকেন । তাহ হইলে ব্ৰহ্মজ্ঞাননিষ্ঠ মনুষ্যের দেহত্যাগে যে মুক্তি হয়, সেই মুক্তি জীবদ্দশাতেই লাভ হয়,-দেহধারী হইয়াও তিনি নিৰ্ব্বাণ সুখ ভোগ করিয়া থাকেন। ব্ৰহ্মজ্ঞান লাভ করিয়া জীবন্মুক্তি ঘটিলে ভ্রমরূপ অজ্ঞানের নিবৃত্তি হইয়া যায় ; অজ্ঞানের নিবৃত্তি হইলেই মায়া, মমতা, মুখদুঃখ, শোক, ভয়, মান অভিমান, রাগ,হিংস, যেমন:মোহ,