পাতা:ফিরিঙ্গি-বণিক্.djvu/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইসলাম প্রভাব ও তাহার ক্রয়বিক্রয়ব্যাপারে অর্থে পাৰ্জন করিবার অধিকার লাভ করিতে পারিলেই পরিতৃপ্ত হইত। ইসলাম-বিপ্লব সে আশা নিৰ্ম্মল করিয়া, সমস্ত সুপরিচিত পুরাতন বাণিজ্যপথ করতলগত করিয়াছিল। তাহা আর সহসা ইসলামের হস্তচু্যত হইবার সম্ভাবনা ছিল না । ইসূলামের রণতরুণী জলপথে নবশক্তির বিকাশী-সাধন করিয়া, সৰ্ব্বত্র অজেয় হইয়া উঠিয়াছিল ; –ইসলামের সেনাবাল স্থলপথকে ইউরোপীয় জনসমাজের পক্ষে নিরতিশয় দুৰ্গম করিয়া তুলিয়াছিল। শক্তি-পরীক্ষায় অগ্রসর হইয়া, ইউরোপীয় খৃষ্টানগণ এসিয়ার মুসলমানের সহিত যে সকল যুদ্ধ কলহে লিপ্ত হইতেন, তাহাতে কখন কখন জয়লাভ করিলেও, তাহার ফল দীর্ঘস্থায়ী হইত না । অবশেষে ইসলামের হস্তে পুরাতন বাণিজ্যপথ সমৰ্পণ করিয়া, ইউরোপীয় জনসমাজ নূতন পথের আবিষ্কার সাধন করিবার জন্যই ব্যগ্ৰ হইয়া পড়িল । পুরাতন পথ রুদ্ধ হইল না । সে পথে ভারত-বাণিজ্য ধীরে- ধীরে ইউরোপে বিস্তুত হইতে লাগিল ; —কিন্তু তাহার প্রধান লভ্যাংশ আর ইউরোপীয় খৃষ্টানগণকে সমৃদ্ধিদান করিল না । তাহা ক্ৰমে ইসলামের সৌভাগ্য বদ্ধিত করিতে লাগিল । ইহাতে ইউরোপকে কেবল ক্ষতিস্বীকার করিয়া, অগ্নিমূল্যে ভারতীয় পণ্যদ্রব্য ক্রয় করিতে হইত । ইহাতেই ইউরোপ দিন দিন অর্থমোক্ষণে দুৰ্ব্বল হইয়া পড়িল । এই সময়ে ইউরোপে শিল্পচর্চার সূত্ৰপাত হয় । কিন্তু শিল্পদ্রব্যের অধিকাংশ উপকরণের জন্য ইউরোপকে প্রাচ্য-রাজ্যের মুখাপেক্ষী হইয়া নিতান্ত অসহায় অবস্থায় কালব্যাপন করিতে হইত। ইসলাম ইউরোপকে যে তীব্ৰ তাড়নায় ব্যতিব্যস্ত করিয়াছিল, তাহা যদি ইউরোপকে উস্তমশুন্য করিতে পারিত, তাহা হইলে ইসলামই পৃথিবীর সৰ্ব্বপ্রধান মহাশক্তিরূপে অদ্যপি মানবসমাজের শীর্ষস্থানে প্রতিষ্ঠিত থাকিত । ইসলামের নবোদ্যম যাহা অধিকার করিয়াছিল, ইসলামের