८ठानोठि RS ইউরোপ সমগ্ৰ এসিয়াখণ্ডে প্রাধান্য লাভ করিয়াছে, প্ৰথম সংঘর্ষকালেই সেই মন্ত্র প্রথমবার ব্যবহৃত হয়। তাতারদেশের মুসলমানকে দিয়া ইসলামের মূল শক্তি পরাস্ত করিবার জন্য ইউরোপ উপহার উপঢৌকন সমভিব্যাহারে র্থ-সাহেবদিগের জয়স্কন্ধাবারে দূত প্রেরণ করিতে अiलूस्ट कgद्ध । তাতারগণ খৃষ্টীয় ত্ৰয়োদশ শতাব্দীর প্রারম্ভে পারস্যদেশে, কাস্পীয়ানঅতীরে ও কৃষ্ণসাগর-তটে অধিকার বিস্তার করিয়া, অধিকাংশ বাণিজ্যপথ করতলগত করিয়াছিল । ভল্লা নদী ও কাস্পীয়ান হ্রদের সঙ্গমস্থল এসিয়া-ইউরোপের বাণিজ্য-পথের সর্বপ্রধান সন্ধিস্থল বলিয়া পরিচিত ছিল । তাতারগণ ভল্পা নদীর সন্ধিস্থলে ও শিবির-সন্নিবিষ্ট করিয়াছিল। সুতরাং সেই পথে ভারতীয় পণ্যদ্রব্য অনায়াসে সমগ্ৰ ইউরোপে ব্যাপ্ত হইতে পরিবে ভাবিয়া, ইউরোপীয় ধৰ্ম্মাচাৰ্য্য ও তাহার অনুগত প্ৰধান শিষ্য ফরাসী নরপতি সেণ্ট লুই তাতারদিগের সহিত মিত্রতাসংস্থাপনের জন্য নানারূপ আয়োজন করিয়াছিলেন । দৌত্য সফল হইল না। তাতারগণ আত্মবিক্রয় করিল না। তাহদিগকে বাহুবলে পরাভূত করিবার শক্তি না থাকায় ইউরোপকে অগত্যা ক্ষুস্নহৃদয়ে তাতার-সৌহার্দ্য পরিত্যাগ করিতে হইল। সাক্ষাৎসম্বন্ধে ভগ্নীমনোরথ হইলেও, এই দৌত্যকাৰ্য্যে ইউরোপ অনেক শিক্ষা লাভ করিল। কৃষ্ণসাগর ও কাস্পীয়ান হ্রদের তীর হইতে মধ্য-এসিয়ার মরুভূমি পৰ্য্যন্ত যে পুরাতন বাণিজ্য-পথ প্ৰচলিত ছিল, তাহার সমগ্ৰ ভৌগোলিক বিবরণ প্ৰকাশিত হইয়া পড়িল। তাহা লিখিত ও অনূদিত হইয়া, ইউরোপের বিবিধ প্রদেশে সযত্নে অধীত হইতে লাগিল । মুসলমান-শক্তির অভ্যন্তরেই যে তাহার। অবশ্যম্ভাবী ধ্বংসবীজ গুপ্ত হইয়া রহিয়াছে, তাহারও নানা পরিচয় প্ৰকাশিত হইয়া পড়িল । এই দৌত্যকাৰ্য্য সফল হইলে, মধ্য-এসিয়ার ন্যায় ইউরোপকেও স্থলযুদ্ধের
পাতা:ফিরিঙ্গি-বণিক্.djvu/২৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।