পাতা:ফিরিঙ্গি-বণিক্.djvu/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ని ফিরিঙ্গি বণিক মহানগরে বাস করিয়া, সভ্য হইবার সুযোগ প্রাপ্ত হইয়াছিল, তাহারাও সভ্যতার প্রকৃত অমৃতফলে বীতরাগ হইয়া, তাহার বিবিধ কুফল লাভের জন্যই লালায়িত হইয়া উঠিয়াছিল ! সন্তোগ-লালসা প্ৰবল হইয়া, সংযমসীমা অতিক্ৰম করিয়াছিল । জ্ঞান কেবল সম্ভোগের উপায় উদ্ভাবন কারিত :- ধৰ্ম্ম কেবল বাহাড়ম্বরের সম্ভোগকে সম্ভজনীয় করিয়া তুলিত ;-লোকাচার কেবল মানবসমাজকে নিয়ত পশুস্বভাবের দিকেই প্ৰাণপণে আকর্ষণ করিত ! ইহার ফল ফলিতে বিলম্ব ঘটিল না। ইউরোপ শীঘ্রই সৌভাগ্য-বিচু্যত হইল। অজ্ঞানতার অন্ধকারে পূর্বশিক্ষা বিলুপ্ত হইয়া গেল। এসিয়ার খৃষ্ট-ধৰ্ম্ম ইউরোপে প্রচারিত হইবামাত্র, তাহার স্বভাবসুন্দর সন্ন্যাসীর সৌম্যমুক্তি পরিাবত্তিত হইয়া গেল! ইউরোপ ধৰ্ম্মান্ধ হইয়া উঠিল; নিয়ত শয়তানের কথা চিন্তা করিতে করিতে শয়তানের কথারই প্রচার করিতে লাগিল । জ্ঞান ও ধৰ্ম্মের মধ্যে চিরবিরোধ সঞ্জীবিত হইয়া উঠিল । যাহা কিছু নূতন, তাহা শয়তানের কুটিল কৌশল বলিয়া ব্যাখ্যাত হইবামাত্র, জনসাধারণ তাহার নিকট হইতে দূরে পলায়ন করিয়া, আত্মার সদগতিরক্ষার্থ ল্যাকুল হইয়া পড়িল । ধৰ্ম্মাচাৰ্য্যগণ স্ব স্ব পদমৰ্য্যাদা বদ্ধিত করিবার আশায়,অশিক্ষিত জনসাধারণের জন্য নানারূপ ধৰ্ম্মান্ধি তার আবরণ সৃষ্টি করুিয়া লোকলোচন আচ্ছন্ন করিতে প্ৰবৃত্ত হইলেন । ইসলামের সহিত খৃষ্টান-সমাজের ধৰ্ম্মযুদ্ধ বিঘোষিত হইলে, খৃষ্টানের ধৰ্ম্মান্ধতা অধিকতর কঠোর হইয়া উঠিল । দুৰ্দশার দিনে দুৰ্ম্মতি আসিয়া মানবসমাজের জ্ঞানচক্ষু আবৃত করিয়া দেয়। ইউরোপের অবস্থাও সেইরূপ হইয়া উঠিল । ইউরোপ স্মরণাতীত পুৱাকাল হইতে জলপথে নৌচালন করিত। ভূমধ্যসাগর ইউরোপের নিকট স্থলপথের ন্যায় সুপরিচিত হইয়া উঠিয়াছিল। কিন্তু ভূমধ্যসাগরের ইউরোপীয় অর্ণবপোত কেবল ক্ষেপণী বলেই পরিচালিত হইত। বায়ুবলে সমুদ্রপথে পোতচালনা করিবার কৌশল অতি পুরাকালে