পাতা:ফিরিঙ্গি-বণিক্.djvu/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খৃষ্টীয় কুসংস্কার t আবিষ্কৃত হইয়াছিল। ভারত-মহাসাগরের বাণিজ্যপোত নৈসৰ্গিক বায়ুপ্রবাহের উপর নির্ভর করিয়াই, ভারতবর্ষ হইতে বর্ষান্তরে গমনাগমন করিত । প্রয়োজনের অভাবে ভূমধ্যসাগরে সে উপায়ে পোতচালান-কৌশল অবলম্বিত হইত না । দিগদর্শনশালাকা আবিষ্কৃত হইলেও, ধৰ্ম্মান্ধি খৃষ্টান নাবিকগণ তাহাকে “শয়তানের যন্ত্ৰ”। মনে করিয়া, তাহার ব্যবহার কল্লিতে সম্মত হৈ কুঁত না । কেহ সে যন্ত্র ব্যবহার করিয়া পোতচালনা করিতে সাহস করিলে, কোন ও খৃষ্টান নাবিক সেরূপ আণবিপোতে পদাৰ্পণ করিয়া তাহার পর কালের সদগতিকে সঙ্কটাপন্ন করিতে সাহসী হইত না ! এরূপ অবস্থায় পুরাতন জলবাণিজ্যপথে প্ৰতিহত হইয়া, নূতন জলবাণিজ্যপথের অনুসন্ধান ক?” সেকালের ধৰ্ম্মান্ধ ইউরোপের পক্ষে কত না কঠিন হইয়া উঠিয়াছিল ! ইসলামের অভু্যদয়ের বহুপূৰ্ব্ব হইতে ভূমধ্যসাগরে ফিনিসীয় মণিগৃর্গের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠালাভ করিয়াছিল ! তৎপূৰ্ব্বে একদা পুরাতন মিশর রাজ্যই ভূমধ্যসাগরের অদ্বিতীয় অধিপতি হইয়া, সমগ্ৰ ইউরোপে বাণিজ্যযাত্ৰা করিয়া ধনোেপার্জন করিত। মিশর কালক্রমে সেই পুরাতন জলবাণিজ্যপথের অধিকার-বিচু্যত হইলে, নুতন জলবাণিজ্যপথের সন্ধান-চেষ্টায় নানারূপ আয়োজন করিবার পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া যায়। এক দিকে ভূমধ্যসাগর, অন্যদিকে লোহিত্যসাগর, এই দুইটি ভূবেষ্টিত ক্ষুদ্র উপসাগরের সহিত সুপরিচিত থাকিলেও, মিশরবাসিগণ ভারতমহাসাগরের সহিত পরিচিত হইবারও সুযোগ প্ৰাপ্ত হইয়াছিল । শিল্প, বিজ্ঞান, গণিত ও দর্শনবিদ্যায় মিশরদেশ পুরাকালেই উন্নতিলাভ করে। তখন কোনরূপ অন্ধবিশ্বাস বা কুসংস্কার মিশরবাসিগণকে অভিনব তত্ত্বালোচনায় নিরস্ত করিত বলিয়া বোধ হয় না । তাহারা আফ্রিকার একাংশে বাস করিয়া, অপরাংশের সম্বন্ধেও কিয়ৎ পরিমাণে ভৌগোলিক জ্ঞানসঞ্চয়ে সফলকাম হইয়াছিল। তাহারা আফ্রিকার ඊ