পাতা:ফুলমণি ও করুণার বিবরণ.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৩২

দ্বিতীয় অধ্যায়।

 পূর্ব্ব অধ্যায়ের লিখিত ঘটনার দশ বার দিন পরে আমি পুনর্ব্বার ফুলমণির গৃহে যাইতে বাসনা করিলাম। সে দিবস শনিবার, অতএব মনে ভাবিলাম, অদ্য যদি যাই, তবে বোধ হয় আমি ফুলমণির ছেল্যাদের দেখা পাইব; কারণ ফুলমণি আমাকে বলিয়াছিল যে শনিবারে ছেল্যারা বেলা থাকিতে বাটীতে আইসে। ইহা স্মরণ করিয়া আমি আয়াকে ও চাপ্‌রাসিকে সঙ্গে করিয়া চলিলাম। চাপ্‌রাসির হাতে একটি টবে অতি সুন্দর লালবর্ণ বিলাতি ফুলগাচ ছিল; তাহা চিন গোলাপ চারার পরিবর্ত্তে ফুলমণিকে দিতে মানস করিলাম, কেননা সে ফুলসকলকে কেমন ভাল বাসে এবং তাহাদ্বারা কিরূপ উত্তম২ উপদেশ প্রাপ্তা হয়, ইহা দেখিয়া আমি বড় সন্তুষ্টা হইয়াছিলাম।

 ইহা আশ্চর্য্যের বিষয় বটে, যে কোন২ খ্রীষ্টিয়ান লোক পৃথিবীর সৌন্দর্য্য দেখিয়াও তদ্বারা সৃষ্টিকর্ত্তার বিষয়ে কিছু শিক্ষা করে না, এবং তাঁহার হস্তকৃত কার্য্যের সহিত পারমার্থিক বিষয়ের কিরূপ তুলনা হয়, তাহাও বুঝিতে পারে না। এই কথা দেশস্থ স্ত্রীলোকদের প্রতি বিশেষ-