পাতা:ফুলের মালা.djvu/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

§ 3 o' ফুলের মালা । চতুৰ্ব্বিংশ পরিচ্ছেদ । ...零。ぶや*剥** দিনাজপুর এখন শাস্তির রাজ্য । সুলতান সেকেন্দরসাহের জীবনের সঙ্গে সঙ্গে গণেশদেবের বিদ্রোহিতার ও শেষ হইয়াছে : নূতন রাজার সহিত র্তাহার শুরি শক্রতা নাই ; পরস্পর তাহার। মিত্রতাস্থত্রে আবদ্ধ। সুতরাং তিনি এখন নিশ্চিস্থ হইয়। রাজ্যের যথাবিধি মঙ্গলসাধনে যত্নপত্র । যুদ্ধকালে যে সকল প্রাসাদাদি ভগ্ন হইয়াছিল, তাহ নূতন রূপে সংস্কৃত হইতেছে, রাজধানীর স্থনে স্থানে নুশুন পথ, নুতন পরিধা, নূতন উষ্ঠানদি নিৰ্ম্মিত হইতেছে। প্রজাদের মুখ স্বচ্ছদের সীমা নাই, যুদ্ধে তাহারা যে ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছিল, রাজা তাহা যথাসাধ্য পূরণ করিতেছেন— কেবল যুক্তদিগকে প্রাণ দিতে পারেন নাই মাত্র । এই স্বথ শাস্তির দিনে দুই বৎসর পূৰ্ব্বের দুঃখ কষ্ট তাহদের নিকট এখন দুঃস্বপ্নের স্মৃতিমাত্র ; বিপদের সে বিভীষিকা নাই, আছে কেবল সেই বিভীষিকাময় জীবনকাহিনীর আলোচনার সুখ ;–সংসারে কাটাহীন মুখ যদি কিছু থাকে তবে ইহাই তাই । রাজবাটীর কাছে নদীর ধারে নূতন বাগান হইয়াছে, তাহার পাশ দিয়া কয়েকজন নগরবাসী স্নানে গমন করিতেছিল .প্রাসাদের নহবতে ভৈরবী রাগিণী বাজিতেছিল, তাহীর সঙ্গে গুণ গুণ করিতে করিতে মালীযুব ফুলগাছের তলার মাটী নিড়াইতেছিল; আর রক্তবস্ত্রধারী এক বালক ফকীর নিকটের বৃক্ষ হইতে ফুল তুলিতে তুলিতে দুরোখিত ঢাকবাস্কের মৃত্ব শব্দের প্রতি মনে৷