পাতা:ফুলের মালা.djvu/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* >

ফুলের মালা । নিবেশ করিতেছিলেন ।--পথিক একজনের তাহার দিকে দৃষ্টি পড়িল, -সে বলিয়া উঠিল, -“দেখ দেখ, ফকীর দেখ ! যেন সাক্ষাৎ পীর ! যাই একবার বাবার কাছে, ছেলেটা ত কিছুতেই সরিষ্ঠে না!” দ্বিতীয় ব্যক্তি ফকীরের দিকে সোৎসুকো দৃষ্টিপাত করিয়া অর্থপূর্ণভাবে মাথা নাড়িল । প্রথম বলিল-“ফকীবজিকে তুই চিনিস ? দোহাই তোর, আমাকে নিয়ে চ; পাচপীরের সিগ্নি দিয়েছি, কালী মাকে পাঠ মেনেছি, কিছুতেই ছেলেট।" তৃতীয় বাক্তি সহসা বলিয়া উঠিল, "ঢাকের বাছি বাজে যে । আজ কি অমাবস্ত ? কালীপুজো ও বাপ্তি শুনলেই আমার বুক গুড় গুড় করতে থাকে । সে দিন সকালে কি সৰ্ব্বনেশে ঢাকই বেজে উঠেছিল ?” তাহার দীর্ঘনিশ্বাস পড়িল । চতুর্থ বলিল, “মই বলিস, বাপু, সে এক জবর দিন গেছে । প্রাণগুলো সে দিনে পোলামকুটি মনে হে হু ! একটা শত্রুর গর্দান নিতে পারলে এক প্রাণ একশবার দিয়ে ও দুঃখ ছিল না । বেটীদের কি চড়কি ঘোরানটাই ঘোরান গিয়েছিল ।” তু। তারা যদি আর দিন সবুর করতো, তাহলে কে কাকে চড়ক ঘেfয়াতে, দেখা যেতো। ভাগ্যে ভাগো আপনার পাললি । ভাড়ারে ত আর চাল ডাল এক মুটো ছিল না, কার জোরে বাব: আর লড়তে ! ঢাক যে বড় জোরে জোরে বহুছে ! প্রথম ব্যক্তি ইতিমধ্যে দ্বিতীয়কে বলিল—“ঘাড় নাড়লি যে । মাথার দিব্যি কি জানিস বল । প্র । বলবিনে ত কাউকে ?