পাতা:ফুলের মালা.djvu/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজাকে তিন বার অভিবাদন পুৰ্ব্বক প্রস্তর-মূৰ্ত্তিকে লক্ষ্য করিয়া তীর ছড়িলেন, অমনিঘোরতর কোলাহল উত্থিত হইল। চতুর্দিক. হইতে লোক আসিয়া প্রস্তরমূর্তি বেষ্টন করিয়া ফেলিল, দেখিল পক্ষীচক্ষু বিদ্ধ করিয়া তীর চলিয়া গিয়াছে ! আকাশপ্রান্তর প্রতিধ্বনিত করিয়া অমনি জয়ধ্বনি উঠিল, দিনাজপুরের রাজকুমার গণেশদের লক্ষ্যভেদ করিয়াছেন। দশকবৃন্দের উল্লাস-ধ্বনিরমধ্যদিয়া, সভাসদগণের পুপবৃষ্টির মধ্য দিয়া, রাজকুমারপুব্রিজ্বে বঙ্গেশ্বরের সমীপে আনীত হইলেন। মূলস্তান সাহও অশ্ব হইঠেলামিলেন। তিনি স্বহস্তে যুবকের কটিদেশে একখানি दल्ईमै তরবারি বাধিয়া রায়বাহাদুর উপাধি প্রদান করিলেন। চারিদিক হইতে আবার উৎসাহের জয়ধ্বনি উঠিল,সহস্ৰ পুষ্পমালার্তাহার কণ্ঠদেশে অর্পিত হইতে লাগিল। একজন রমণী দূর হইতে রাজকুমারের লক্ষ্যভেদ দেখিতেছিল, সে এই সময় কণ্ঠদেশ হইতে একগাছি শুষ্ক ফুলমাল উন্মোচন করিয়া তাহা একটি ক্ষুদ্র প্রস্তরখণ্ডে জড়াইয় রাজকুমারের উদ্দেশে ছুড়িয়া দিল ; কিন্তু মালা লক্ষ্যস্থানে না পৌঁছিয়া সুলতানের গাত্রে লাগিয়া নিম্নে পতিত হইল। বঙ্গেশ্বর তরবারি বাধিতে বাধিতে স্খলিতহস্ত হইয়াবিস্ময়ে এবং বিরক্ত দৃষ্টিতে নতমুখ উন্নত করিলেন। নিকটস্থ সভাসদগণ ফুলবর্ষণে ক্ষান্ত হইয়া সভয়ে তাহার দিকে চাহিল, সুলতান সাহের পুত্র নবাব গায়মুদ্দিন সেই শুষ্কমালাগাছি ভূমিতল হইতে লইয়া বখন হাসিয়া বলিলেন, “রাজকুমার, শুষ্ক ফুলের মালায় কে তোমাকে অভিবাদন করিল ?” তখনসকলেরইগাষ্ঠীৰ্য্য দুর হইল, বঙ্গেশ্বর সহান্ত মুখে গণেশদেবের কটিতে আবার তরবারি বাধিতে লাগিলেন। আবার জয়ধ্বনি, ফুলবৃষ্টি হইতে লাগিল! এমন সময় জনতার মধ্য দিয়া একজন