পাতা:ফুলের মালা.djvu/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ 8 ফুলের মালা। জনক প্রহেলিক ! তাহার বেশভূষা, ব্যবহার, ভাবভঙ্গী, এমন কি, একটি কটাক্ষ, প্রত্যেক পদক্ষেপ পর্য্যন্ত । তাহার পরিধানে গেরুয়া বসন অথচ সে সন্ন্যাসিনী নহে। কেননা সন্ন্যাসিনীর । ত্রিশূল জটাজুট বিভূতি রূত্বাক্ষমালা তাহার নাই, মন্তক অনাবরিত মহে; গেরুয়া বর্ণের স্বক্ষ ওড়নার মধ্য দিয়া গ্রীবাদেশের অযত্নবন্ধ অৰ্দ্ধমুক্ত লোল কবরী লক্ষিত হইতেছে। সম্মুখে অৰ্দ্ধোন্মুক্ত মস্তকে তরঙ্গায়িত মুচিকর কেশশোভা, দু-একটা কুঞ্চিত শিথিল অলকদাম ভালে, কপোল খসিয়া পড়িয়া তাহার কমলাননের কমনীয় কান্তি অতি মধুরূপে ফুটাইয়া তুলিয়াছে। “সুন্দরী কি কোন বিধবা তীর্থযাত্ৰী ? কিন্তু বিধবা যদি হয় তযে হাতে গাছি স্বর্ণবলয় কেন ? হয়ত বালবিধবা বলিয়া পিতা মাত তাহাকে অলঙ্কারহীন করেন নাই। তাহাই সম্ভব; কেন না সধবারমণী হইলে পরিত্রাজিক হইয়া বেড়াইবে কেন।” স্বন্দরী যে কুমারীও হইতে পারে, এ সম্ভাবনা পৰ্য্যন্ত কুমারের মনে উদয় হইল না। ওরূপ যৌবনপ্রাপ্ত হিন্দুকন্ত ষে অবিবাহিত থাকিবে, এ কথা সহসা কাহার মনে আসে। রাজকুমার অনুমান করিলেন, “তাহাই ঠিক, স্বনারী তীর্থযাত্রী বিধবা, এবং উচ্চবংশীয় পুরবালা তাহাতেও সন্দেহ নাই। তাহার প্রতি পদক্ষেপে আত্মমর্য্যাদা, প্রত্যেক কটাক্ষে সাধীর তেজগৰ্ব্ব প্রকাশিত ! অথচ তাহার প্রতি যখনি সে চাহিয়াছে সে দৃষ্টিতে অতি মধুর প্রেমময় পরিচিত ভাব প্রকাশ পাইয়াছে কেন ? তিনি তাহাকে কখনও দেখেন নাই, চেনেন না, তবে এ দৃষ্টির অর্থ কি ? সুন্দরীর সকলি রহস্ত ! সকলি প্রহেলিকা !" এইরূপ চিন্তামগ্ন হইয়া লোলরাশ হস্তে রাজকুমার অল্পে জয়ে অগ্রসর হইতেছেন