পাতা:ফুলের মালা.djvu/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

}tశి ফুলের মালা । চতুঃত্রিংশ পরিচ্ছেদ। সন্ন্যাসিনী ডাকিলেন, “রাজকুমার !” নিদ্রিত গণেশদেব চমকিয়া জাগিয়া উঠিয়া বলিলেন, “না, শক্তি, আমি যাইব না, আমাকে অীর প্রলোভিত করি ও না ।” সন্ন্যাগিনী বলিলেন, “বংস, আমি শক্তি নহি । তুমি উঠ, তোমাকে মুক্ত করিতে আসিয়াছি।” গণেশদেব সন্ন্যাসিনীর স্বর চিনিতে পারিলেন, হৃৎপিণ্ডে রক্তধারা শতোচ্ছাসে উথলিয়া উঠিল। সত্যই তবে এবার তিনি স্বাধীনতা লাভ করিলেন । পুলকে বিস্ময়ে ত্রস্তে উঠিয়া দাড়াইয়া বলিলেন, “ভগবতী সন্ন্যাসিনী এখানে ?” সন্ন্যাসিনী বলিলেন, “ইয়া শীঘ্র প্রস্তুত হইয়া লও, এই বস্ত্রে স্ত্রীবেশ ধারণ করিয়া এই শালখনিতে চক্ষু ব্যতীত সমস্ত মুখ চাকিয়া আমার অনুবী হও ।” গণেশদেব যথাশীঘ্র বেশ সমাধা করিয়া বলিলেন “দেবি, আমি প্রস্তুত।” সন্ন্যাসিনী তখন মুধীয়ে দ্বারে করাঘাত করিলেন, দ্বার উন্মুক্ত হইলে তাহারা বাহির হইয়। গেলেন । মুহূৰ্ত্তে লৌহকবাট এবং শক্তি একই সঙ্গে আবার রুদ্ধ হইল। শক্তি কারাগৃহে প্রবেশ করিয়া এতক্ষণ গৃহের এক কোণে কম্পিত হৃদয়ে চুপ করিয়া বসিয়াছিল। তাহার ভয় হইতেছিল পাছে গণেশদেবতাহাকে দেখিতে পাইয়া পলায়নে আবার কোন আপত্তি করেন। যদিও তাহার এ উদ্বেগ নিতান্ত অমূলক, কেননা তাহারা গৃহ-প্রবেশকালে গণেশদেব দেখেন নাই, তিনি তখন নিদ্রিত