পাতা:ফুলের মালা.djvu/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফুলের মালা । సి বিরহযাতনা সহিয়াছে রাজকুমারও ত তাহার অদর্শনে সেইরূপ যাতনাই ভোগ করিবেন । বাল্যকালে যখন সংসারের বিষময় অভিজ্ঞতায় হৃদয় জর্জরিত হয় নাই, তখন প্রেমে পূর্ণ বিশ্বাস । সে হাসিয়া বলিল, “তেমন সাধ থাকিলে পুরাণ স্বপ্ন কি আর ফেরে না । এর মধ্যে তোমার সব সাধ ফুরিয়েছে নাকি ?” রাজকুমার হাসিয়া বলিলেন “সব না হোক কতকটা ত বটে। আর বুড় হতে চলুম, রাজ্যভার আমার হাতে, প্রজার মুখ দুঃখ দেখব না ছেলেবেলার মত কেবলি খেলা-ধূলা নিয়ে বঁশি বাজিয়ে দিন কাটাব ?” রাজকুমার বিংশতি বৎসর অতিক্রম করিয়াছেন মাত্র । বালক স্বভাবসুলভ ভাবে এখনও তাহার হৃদয় পরিপূর্ণ তাই তিনি কথায় কথায় আপনার বৃদ্ধত্ব প্রকাশ করিয়া মুখ অনুভব করেন। শক্তি বলিল, “তোমার যেন বঁাশি বাজাবার সাধ মিটেছে কিন্তু আমার ত আর শোনবার সাধ এখনও মেটে নি ! ছি রাজকুমার ! যে বাঁশি ছাড়া তুমি আগে একদণ্ড থাকতে পারতে না, এখন তাকে ছাড়লে কি করে ? বরঞ্চ কন্দপকে তার ধনুৰ্ব্বাণ ছাড়া কল্পনা করা যায় বংশীধারী মদনমোহনকেও কেবল ঘড়াচুড়াতে কল্পনা করা যায় কিন্তু আমাদের গণেশদেরকে বাশি ছাড়া মনে করতে হলে অন্তর বাহিরের সমস্তই যেন ওলট পালট হয়ে পড়ে !” রাজকুমার হাসিয়া বলিলেন, “তা যদি তবে আর দেখছি বাশি ছাড়া হোল না”—বলিয়া তাহার রাজপরিচ্ছদের অভ্যস্তর হইতে ক্ষুদ্র ইখও কাষ্ঠনল বাহির করিয়া জুড়িতে লাগিলেন। শক্তি আহলাদে বলিল, “সেই বাশের বাশি ! রাজ। হ্য, তোমার সেই বাশিটি।