পাতা:ফুলের মালা.djvu/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফুলের মালা । *○ জষ্ঠেই তোমার পিতা তোমাকে দেশে নিয়ে গেছেন। আমি মনে করলুম ভূমি পরস্ত্রী।” শক্তির পিতার বাড়ী ঠিক দিনাজপুরে নহে ; দিনাজপুরের নিকটবৰ্ত্তী দেবকোটে। তিনি রাজসরকারে কাজ করিতে আসিয়া ১০ বৎসরকাল দিনাজপুরেই বাস করিতেছিলেন। শক্তি কষ্টে উথলিত অশ্রজল সম্বরণ করিয়া বলিল, “কে রাণী ?” “নিরূপম৷” শক্তির সুন্দর মুখ সহসা ঈর্ষাবিকৃত হইল! শক্তি রাজকুমারের স্মৃতি ধরিয়া কষ্টে দিন যাপন করিতেছে ; আর তিনি ছুদিন ন। যাইতেই অন্ত নারীর পাণিগ্রহণ করিয়াছেন ! ভগবান, পৃথিবীতে তুমি পুরুষ ও নারীকে এতই অসমান করিয়া জন্ম দিয়াছ ? একজন কাদিয়া মরিবে আর সেই অশ্রুজলে অভ্যন্ত জনের হাসি ফুটিয়া উঠিবে ? একজনকে শোণিত দিয়াছ কি কেবল অন্তের পিপাসা মিটাইবার জন্ত ! শক্তির সেই ঈর্ষাবিকৃত কুটিলরেখাঙ্কিত ভ্ৰকুটি দেখিয়া রাজকুমার শিহরিয়া উঠিলেন। র্তাহার হৃদয়ে শক্তি যে ভাৰে অধিষ্ঠিত, তাহার যে মূৰ্ত্তি তিনি ভুলিতে পারেন নাই, ইহা ত সে মূৰ্ত্তি নহে! সেই মোহিনী সৌন্দর্ঘ্যের মধ্যে যে এরূপ সংহারিণী ভীষণ মূৰ্ত্তি লুকায়িত থাকিতে পারে, রাজকুমার তাহা স্বপ্নেও ভাবিতে পারেন নাই ! রাজকুমারকে স্তন্ধ দেখিয়া শক্তি হলাহলপূর্ণ স্বরে বলিল— “তোমাদেরই সাজে। সত্যই ত! আমরা বিশ্বাস করিব,— তোমরা ছলনা করিবে ! আমরা তোমাদের ধ্যানে জীবন পাত