&も ফুলের মালা । ইহা একটি আশ্চৰ্য্য সত্য ! শক্তি ক্ষুব্ধ মৰ্ম্মাহত হুইয়। কঁাদিয়া সকাতরে কহিল, “রাজকুমার, আমাকে ত্যাগ করিও না। তুমি পুরুষ—ইচ্ছা করিলে শত বিবাহ করিতে পার, তবে কেন এই অভাগিনীকে পরিত্যাগ করিবে ? তুমিই ধৰ্ম্মতঃ আমার স্বামী, আমাকে অকুলে ভাসাইও না। তুমি যদি আমাকে ত্যাগ কর, আবার যদি আমার বিবাহ করিতে হয়, তবে মনে রাখিও সে বিবাহ ধৰ্ম্ম বিবাহ হইবে না, আর সে অধৰ্ম্মের জন্ত পাপের জন্ত তুমিই একমাত্র দায়ী !” শক্তি থামিল। রাজকুমারের নয়নে শক্তির যন্ত্রণাকাতর অশ্রুসিক্ত স্নান জ্যোৎস্নাদীপ্ত মুখখানি, আর র্তাহার কর্ণে তাহার সেই করুণ কণ্ঠস্বর! ইতিপূৰ্ব্বের শক্তির সেই অম্বন্দর ভাব তিনি তখন ভুলিয়া গেলেন, এবং সঙ্গে সঙ্গে আবার নিরূপমাকেও ভুলিলেন। এখন তাহার আর কেহ নাই, আর কিছু নাই। জ্যোৎস্বাদীপ্ত সুন্দর কাননতলে তিনি আর র্তাহার প্রিয়তম এবং তাহাকে মনেবেদনা দিয়াছেন বলিয়া একটা অনুতাপ বেদনা,ইহাতেই মাত্র তিনি সচেতন। রাজকুমার ব্যথিতচিত্তে শক্তির নিকট সরিয়া বসিলেন, হৃদয়ের করুণ-প্রেম নয়নে পূর্ণ করিয়া শক্তির দিকে চাহিয়া তাহার হাত-খানি ধরিয়া অৰ্দ্ধস্ফরিত স্বরে কি বলিতে যাইতেছেন—এমন সময়ে সহসা দুইটি প্রেমিক-হৃদয় কম্পিত করিয়া সেই নিস্তব্ধ নদীতীরে ধ্বনিত হইল “কুলাঙ্গার, পরস্ত্রী স্পর্শ করিতেছিল!” মুখের কথা তাহার মুখেই রহিয়া গেল—আর বলা হইল না । রাজকুমার ফিরিয়া চাহিলেন,—র্তাহার মাতার ক্রুদ্ধ মূৰ্ত্তি র্তাহার নয়নে প্রতিবিম্বিত হইল। রাজকুমার ত্রস্ত ভীত লজ্জিত হইয়া পড়িলেন। কিন্তু শক্তি নিৰ্ভীকভাবে উঠিয়া দাড়াইয়া অটলস্বরে বলিল, “মাতঃ, আমি পরস্ত্রী নহি, আমি যুবরাজের ধৰ্ম্মপত্নী, ঈশ্বর
পাতা:ফুলের মালা.djvu/২৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।