পাতা:ফুলের মালা.djvu/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফুলের মালা । ○> শক্তি। মূৰ্খ! তুই পুরুষ আমি স্ত্রী, তুই মুসলমান আমি হিন্দু, তোর নীচ বংশ নীচ ধৰ্ম্ম, আমার শ্রেষ্ঠ বংশ শ্রেষ্ঠ ধৰ্ম্ম । ভগবান আমাদের দুজনকে স্বষ্টি করিয়াছেন সভা, কিন্তু এক করিয়া ত আর গড়েন নাই, তুই স্বতন্ত্র লোক আমি স্বতন্ত্র লোক ! মুসলমান হাসিল । অন্ধকারে তাহার মুখের বিদ্ধপ-ক্ৰকুটিরেখা দেখা গেল না, কিন্তু স্বরে তাহ মুস্পষ্ট হইয়া উঠিল। সে বলিল, 'ই্যা, ভগবান সকলকে স্বতন্ত্র করিয়া গড়িয়াছেন সতা, কিন্তু স্বতন্ত্র নিয়মে ত গড়েন নাই ! একই চেতনা হিন্দু মুসলমান ধনী দরিদ্রের মধ্যে সঞ্চারিত, একই ন্যায়-ধৰ্ম্মে তাহার প্রতিপালিত, বিধাতার নিকট সকলেই সমান।” গণেশদেবের মাতার নিকট অপমানিত হইয়। শক্তি কিছু পূৰ্ব্বে এই ভাব মৰ্ম্মে মৰ্ম্মে অনুভব করিয়াছিল—এখন যবনের মুখে সে যেন তাহারি অভিশাপবাক্যেয় উপহাস-প্রতিধ্বনি শুনিল । শক্তি কিঞ্চিৎ স্তম্ভিত হইল ; বুঝিল মুসলমান সামান্ত লোক নহেন, ভাহীর মনের কথা তাহার নিকট অবিদিত নাই। কিছু পরে সহসা সে জিজ্ঞাসা করিল,—“তা যদি-যদি সবাই সংসারে সমান—তবে এ ভেদজ্ঞান কেন ?” উত্তর হইল—“অজ্ঞানতা-মায়া !” শক্তি। এ মায়ার আবশুক কি ? এই মায়াই যখন সমস্ত কষ্টের কারণ, তখন ভগবান এই মাম্বা, এই অজ্ঞানত জগৎ হইতে দূর করিয়া দেন না কেন ? উ। দুর করিলে স্থষ্টি থাকে না যে ! তাহার স্বষ্টি রক্ষার জন্ত, তাহার উদেণ্ড সিদ্ধির জন্যই এই মায়ার আবখ্যক।