পাতা:ফুলের মালা.djvu/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 e ফুলের মালা । বলি কাহাকে ? পারস্পরিক প্রেমভাবই হৃদয়ধৰ্ম্ম। তুমি যাহাকে ভালবাদ সেও যদি তোমাকে ভালবাসে—তবেই ত প্রণয়-বন্ধন ; তবেই ত পরস্পরের প্রতি পরম্পরের কৰ্ত্তব্য, অধিকার! এই বন্ধন ছিন্ন করিলে বটে—বিশ্বাস ভঙ্গ, কর্তব্য ভঙ্গ, ধৰ্ম্ম ভঙ্গ করা হয়! কিন্তু রাজকুমার বা ল্যকালে তোমার সহিত খেলা করিয়াছেন বলিয়া তোমার সহিত গ্রে মহুত্রে আবদ্ধ এরূপ কল্পনা করা, আশা করা নিতান্ত অসঙ্গত। প্ৰেমধৰ্ম্ম যৌবনধৰ্ম্ম, বিশেষতঃ পুরুষের পক্ষে। বাল্যকাল হইতে তুমি তাহার নিকট হইতে দূরে, তোমার প্রতি অনুরাগ সঞ্চারের অবসরও তাহার ঘটে নাই ; কিম্বা বিন অনুরাগ সত্ত্বেও যথাসময়ে যথানিয়মে তোমাকে তাহার পাত্রী মনোনীত করেন নাই-এ অবস্থায় হৃদয়ধৰ্ম্মে বা সমাজধৰ্ম্মে, কোন ধৰ্ম্মেই তিনি তোমার প্রতি অদ্যায়ীচরণ করেন নাই। এক-পক্ষ প্রেমের কোনই অধিকার নাই, তুমি অনুগ্রহের ভিখারী মাত্র অধিকার ভিক্ষাতেও অt ছে সত্য—যখন ভিক্ষ হ্যায্য প্রাপা, নহিলে অন্যায় ভিক্ষণ যে চাহে সে অনধিকার দান চাহে, তাহ হইতে বঞ্চিত হইলে কাহারও প্রতি রাগ করিবার কোনও অধিকার নাই ।” শক্তি বলিল, “এক-পক্ষ প্ৰেম ! তবে প্রতিদিন কেন সে আমায় ভালবাসা দেখাইত ? কেন সে ফুলের মালা পরাইয়। আমাকে তাহার রাণী করিয়াছিল ?” যোগিনী। বৎসে, সে বালকের খেলা! কোমলমতি বালকে কিছু আর তুমি যুবকের দায়িত্ব অর্পণ করিতে পার না। শক্তি । আমিও কি তখন বালিকাছিলাম না ! আমি যে তথন হইতেই তাহাকে পূর্ণ প্রাণে ভাল বাসিতেছি ; আর তাহার প্রেম,