পাতা:ফুলের মালা.djvu/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ ● ফুলের মালা । তাহার অবসান কে বলিতে পারে ? পিতার কৰ্ম্ম সন্তান সন্ততিতে বহমান, একের অপরাধে অন্তের শাস্তি ? অামার অপরাধে, আমার কৰ্ম্মফলে, কেন প্রভূ নিরপরাধ বালিকার এ মৰ্ম্মদাহ, তাহার মুথহানি ? কিম্বা ইহা উপলক্ষ মাত্র--তাহারই কৰ্ম্মফলে আমার নামের সহিত সম্বন্ধ হইয়া নিজের ভাগ্য নিৰ্ব্বন্ধই এইরূপে পূর্ণ করিতেছে ? প্রন্থ হে! তাহাই সত্য ! জগতে তোমার অবিচার নাই—যাহার যাহা প্রাপ্য পরিপূর্ণ মাত্রায়সে তাহা লাভ করিতেছে। আমরা অজ্ঞানমতি, তাই না বুঝিয়া মাঝে মাঝে যন্ত্রণায় কাতর হইয়া তোমার নামে কলঙ্ক ঘোষণা করি ” যোগিনীর চিস্তু স্তষ্ঠিত হইল, চিত্ত্বে চিন্তু স্থির করিয়া তিনি নয়ন মুদিত করিলেন। শত শত নক্ষত্র জ্যোতি তাহার মৃদ্ধ পথে বিভাসিত হইয়া উঠিল। সেই আলোকে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের প্রচ্ছন্ন গুঢ় প্রহেলিকা তিনি মেন প্রত্যক্ষের মত অভিব্যক্ত দেখিতে পাইলেন । তখন প্রশান্ত আনন্দময় ভাবে বিভোর হইয়া বলিয়া উঠিলেন, “বিভু হে, তোমার মহিমা অপার ! তোমার সৃষ্টিতে সকলি সার্থক ! বিশাল বিশ্বব্ৰহ্মা গু হইতে আর তাঙ্গার ক্ষুদ্র অণু পরমাণুটি পর্য্যস্ত কিছুই এ চরাচরে তুচ্ছ নহে, সকলেই সমান উদেখপূর্ণ, সমান মহান! সৰ্ব্ব ভূতে তোমার সমান দৃষ্টি, সকলতেই তুমি সমভাবে বিরাজমান। অশোরণীয়ান মহতোমহীয়ান আত্মা গুহায়াং নিহিতোহস্ত জন্তোঃ। তমত্রুতুং পশুতি বীতশোকে ধাতু প্রসাদাত্মহিমানমীশম্ | উন্নতিই তোমার স্বাক্টর মূলতত্ত্ব, আর তোমাকে লাভ সকল উন্নতির চরম পরিণতি। 'কৃষ্ট জগতের জড়াধু হইতে চেতনায় পৰ্য্যন্ত এই একই লক্ষ্যে জন্মজন্মান্তরব্যাপী উন্নতি চক্রে বিমূর্ণিত