পাতা:ফুলের মালা.djvu/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& 8 ফুলের মালা দ্বাদশ পরিচ্ছেদ । سپہنچ جاتی جب حية چیت. ফুল্ল বসন্তে বিহঙ্গকুজিত, মলয়হিল্লোলিত, চু্যতাঙ্কুরমুরভিত কাননতল প্রফুল্লমুখী রমণীগণের আনন্দবিহারে পুলকপূর্ণ হইয় উঠিয়াছিল! হায়! মন্দভাগ্য অশোকতরু ! তুমি আজ কোথায় ? তোমার পরিবর্তে পেয়ারী-বৃক্ষ আজ রঙ্গিনী রমণীর চরণস্পৰ্শ-সুখে দোদুল্য কম্পিত হইয়া উঠিয়াছে। রমণী ক্রমশঃ অধঃ হইতে উদ্ধদেশের কোমলতর শাখায় উত্তরণ করিতেছেন। নীচের দর্শক নারীবৃন্দ কেহ বা অবাকনয়নে উদগ্রীব হইয় তাহার দিকে চাহিয়া আছে ; কেহ বা এক মুখে সেই আৰ্য্যাঙ্গনার বীর্য্যপনার ভূয়সী প্রশংসা করিতে করিতে তৎপথামুসরণে প্রয়াসী হইয়া সহস্রবার স্কন্ধমূলে পদার্পণ করিতেছেন, সহস্রবার ব্যর্থকাম হইয়া স্বলিতপদে নামিয়া পড়িতেছেন । কোন কোন কোমলা কামিনী বা নারীজনোচিত আচারভ্রষ্ট এই পৌরুষিক রমণীর ছদ্ধর্ষ কাণ্ডে যুগপৎ ঘৃণা ভয় ও রোষে মুহমান হইয়া কখন সক্রোধ ভংগনায় কখন অমুনয় বিনয় বাক্যে বার বার তাহাকে বৃক্ষ হইতে নামিতে অনুরোধ করিতেছেন । বীর্য্যৰতী বৃক্ষারোহিণী ইহাতে আরও রণরঙ্গে মাতিয়া হাসিন্ধা হাসিয়া বৃক্ষ হেলাইতেছেন, শাখা জুলাইতেছেন ; এবং টুপটাপ করিয়া পেম্বারা ফেলিয়া দিয়া তাহাদের রুষ্ট হৃদয় তুষ্ট করিতে চেষ্টা করিতেছেন। অন্যদিকে কুলের শিলাবৃষ্টি চলিয়াছে। কুলগাছের অদৃষ্টে পদাঘাত মুখ নাই ; তাহার কোমল হাতের কাক খাইয়াই হৃষ্টচিত্তে দ্রৌপদীর