পাতা:ফুলের মালা.djvu/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ፃ8 ফুলের মালা । দূরে না যাইতে পারিলে নিশ্চয় মৃত্যু ! কিন্তু এই মাগন্ন মহাবিপদ উপেক্ষা করিয়াও তিনি এখন ঠাহীর থেলার পরিতৃপ্তির জন্য বাস্ত । এমনই মোছের থেলা ! ভোগমুথের মায়! শুনিতে আশ্চর্য্য বটে, কিন্তু এরূপ আশ্চর্য্য সংসারে নিতান্ত বিরল নহে । কুতব এ কার্য কিছুই কঠিন দেপিল না। কুতবের পিতা রাজমন্ত্রার মুসজ্জিত নির্জন উষ্ঠানবাটীক ইহার জন্য সে উপযোগী বিবেচনা করিয়া উদ্যান-রক্ষককে এক পত্র লিখিয়া দিল । সেই পত্র লইয়া সৈন্তাধ্যক্ষ হোসেন খা পরিচারিকা-পূর্ণ দুইখানি শিবিক, এবং অবশিষ্ট সেনা সঙ্গে তৎপথাভিমুখে যাত্রা করিল ; আর নবাবসাহু একখানি পিধিক এবং দুই চারিঞ্জন বাছা "বাছা সৈন্য মাত্র লইয়া কুতবের সঙ্গ গ্রহণ করিলেন কালীমন্দিরের কাছে পৌঁছিয়া কুতবের আদেশে সৈন্তাগণ শিধিক লইয়া বন মধ্যে লুকাইল-ৰ্তাহার ईई বন্ধুতে মন্দিরে প্রবেশ করিলেন । ইতিপূর্কেই কুতব শক্তির অনুসরণ করিয়া মন্দিরের আশপাশ, মন্দিরের অভ্যস্তর, সব দেখিয়া গিয়াছিল। সে মন্দিরে ঢুকিয়া প্রথমেই পরিচ্ছদ পরিবর্তন করিল, মাথার উষ্ণাষ পরিচ্ছদীয়রূপে ধারণ করিয়া কালীকণ্ঠের জবা-হার লইয়। মাথায় জড়াইল, বক্ষে ঝুলাইল-দেয়াল হইতে নৃকপালমালিকা লইয়া গলায় পরিল ; প্রতিমার সন্মুখস্থিত পাত্র হইতে রক্তচন্দ্রন লইয়া অনাবৃত গারের যেখানে সেখানে দিল। এইরূপে সাজসজ্জা করিয়া নবাবশাহকে বলিল,—“দাড়ান্‌—এইবার দেখা যাক ইহার পর কি করিতে হইবে ?” এই বলিয়া দেয়ালের ছিদ্র দিয়া সন্ন্যাসিনীর গৃহাভ্যন্তরে দৃষ্টিপাত করিয়৷ কিছুক্ষণ পরেই বলিয়া উঠিল, “নব্যবসাহু, প্রতিমার পশ্চাতে লুক্কাস্থিত থাকুন ; বালিকা এইখানেই