পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R -에f5 | যদি সংসার ত্যাগ করিয়া চলিয়া যান, তাহা হইলে “বুদ্ধ” হইয়া সহস্ৰ সহস্ৰ লোককে পরিত্ৰাণ করিবেন । রাজা শুদ্ধোধন ব্ৰাহ্মণদের কথা শুনিয়া অত্যন্ত আনন্দিত হইলেন। এবং এরূপ শিশুর জনক হইয়াছেন বলিয়া পরম পুলকিত হইলেন। শিশুর রক্ষণাবেক্ষণ ও পালনের জন্য সবিশেষ চেষ্টা চলিতে লাগিল । রাজকুমারের জন্য তিনটি প্ৰাসাদ নিৰ্ম্মিত হইল, একটি পাচ তলা, একটি সাত তলা এবং একটি নয়। তলা। বর্ষাকালে রাজকুমারকে কখনও প্রাসাদের নিম্নতলে আনা হইত না। যশোধারা রাজকুমারের ভাবী পত্নীও ঠিক বুদ্ধদেব যেদিন জন্মগ্রহণ করেন, সেইদিন জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। রাজকুমারের বয়স যখন ষোল বৎসর তখন যশোধারার সহিত তাহার বিবাহ হয়। এই বিবাহে স্বয়ম্বর হইয়াছিল, স্বয়ম্বরে সিদ্ধার্থই জয়ী হইয়া যশোধারাকে লাভ করেন। পাছে রাজকুমার বৈরাগ্যবশতঃ সন্ন্যাসী হইয়া যান, এই আশঙ্কায় রাজা শুদ্ধোধন যুবরাজকে কোন সময়ে রাস্তায় বাহির হইতে দিতেন না। যাহাতে কোন জীর্ণ, শীর্ণ, রোগাতুর, বৃদ্ধ, শোকগ্ৰস্ত লোক রাজকুমারের দৃষ্টিপথে না পড়ে, রাজা শুদ্ধোধন সেইপ্রকার চেষ্টা করিয়াছিলেন। কাজেই যশোধারাকে লইয়া রাজকুমার সিদ্ধার্থ যাহাতে সৰ্ব্বদা আমোদপ্ৰমোদে রত হইয়া প্ৰাসাদে অবস্থান করেন, রাজা শুদ্ধোধন। সেই প্ৰকার ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। প্রাসাদের চতুদিক এমন করিয়া রাখা হইয়াছিল যে, কোন জীর্ণ মানুষ তা দূরের কথা, কোন প্রকার শুষ্ক পাতাটি পৰ্য্যন্ত রাজকুমারের দৃষ্টিপথে না পড়ে। এই ভাবে জন্ম হইতে ২৯ বৎসর কাল সিদ্ধার্থকে প্ৰাসাদের মধ্যে একরূপ আবদ্ধ করিয়া রাখা হয় । অতঃপর রাজকুমারের নগর-প্রবেশের সময় হইলে রাজা শুদ্ধোধন আদেশ করিলেন যে, নগর যেন এমনভাবে সুসজ্জিত করা হয় যাহাতে কোন মৃত অথবা শীর্ণ লোক তাহার নয়ন-পথে না পড়ে। চারিটি