পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tar R বংশ-পরিচয় । ইনি ভিন্ন ভিন্ন স্থানে কয়েকটী ইষ্টকময় দেবমন্দির। নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়াছেন এবং সে সকলের প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন। আর স্বদেশে ও বিদেশে। কত লোকের মন্দিরাদি সংস্কারের জন্য যে কত অর্থ ব্যয়িত করিয়াছেন ও করিতেছেন তাহার ইয়ত্তা নাই। ইতিমধ্যে নবদ্বীপের একজন প্ৰসিদ্ধ গোস্বামী পণ্ডিত তাহার একটী প্ৰাচীন জীৰ্ণ মন্দির সংস্কারের জন্য সাহায্য প্রার্থনা করিলে উহাকে নগদ ২০০২ টাকা দিয়া বলেন, ইহাতে পৰ্য্যাপ্ত না হইলে আমাকে জানাইলে আরও কিঞ্চিৎ সাহায্য করিব। ইহার এ জাতীয় দান বিরল না হইলেও বাহুল্যভয়ে একটীমাত্র দৃষ্টান্ত প্ৰদৰ্শিত হইল। এতদ্ব্যতীত ইহার উল্লেখযোগ্য অশেষ সংকাৰ্য্য আছে। তন্মধ্যে দুই একটী মাত্রের উল্লেখ করিয়া এই জীবনবৃত্তের উপসংহার করিব । মুগাবেড়িয়া হইতে ৪ মাইল দূরবত্তী বজরপুর পরগণা একটী তালুকদারী মহাল। এই মহালটী অত্যন্ত গভীর। এই মহালের মালিকগণের পরস্পর মতভেদ ঘটায় বহু বৎসর যাবৎ উক্ত মহালের জলরোধকারী বাউণ্ডারী বঁধের সংস্কারকাৰ্য্য না হওয়ায় অনেক স্থলে ঐ বঁধের চিকু পৰ্যন্ত লুপ্ত হইতে বসিয়াছিল। সেই হেতু পর পর কয়েক বর্ষাবিচ্ছেদে বন্যার জলে শস্যনাশ ঘটায় এবং বর্ষার প্রারম্ভ হইতেই কোনও প্ৰকার জলযান ব্যতীত কাহারও প্ৰতিবেশীর বাড়িতে পৰ্য্যন্ত যাতায়াতের সম্ভাবনা না থাকায় পলায়িতাবশিষ্ট প্ৰজাগণের দুর্দশ চরমসীমায় উপস্থিত হইয়াছিল। তাহার পর করুণহৃদয় এই মহাত্মা প্ৰজাগণের দুরবস্থা দূরীকরণের নিমিত্ত পরস্পর বিবদমান মালিকগণের সম্মতিক্রমে অনু্যান ১০,০০০ দশ হাজার টাকার তাৎকালিক ব্যয় যোগাইয়া উক্ত তালুকের বঁাধ করিয়া দিয়াছেন। এক্ষণে সেই বজরপুর প্ৰজাগণের কামধেনুতে পরিণত হইয়াছে। মুগাবেড়িয়া হাইস্কুল-সংশ্লিষ্ট টেক্‌নিক্যাল বিভাগ স্থাপনের বহুপূর্কে