পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বংশ-পরিচয় । উপবেশন করিলেন । এই সময় গ্রামের প্রধান সেনানীর কন্যা সুজাতা সুবৰ্ণপাত্ৰে করিয়া বৃক্ষদেবতাকে দিবার জন্য দুধ আনিতেছিলেন। সুজাতা-বৃক্ষতলে আসিয়া বুদ্ধদেবকে দেখিতে পান এবং আরও দেখিতে পান যে, বুদ্ধের দেহ হইতে স্বৰ্গীয় জ্যোতিঃ বিকীর্ণ হইতেছে আর সেই জ্যোতিঃতে বৃক্ষ পৰ্য্যন্ত জ্যোতিৰ্ম্ময় হইয়া উঠিয়াছে। ठूञ्जाऊ। মনে করিল, বুঝি তাহার দুধ পান করিবার জন্য বৃক্ষদেবতা স্বয়ং মূৰ্ত্তিমান হইয়া বৃক্ষতলে বসিয়া আছেন। কিন্তু সিদ্ধাৰ্থ সুজাতার সন্দের দুয় করিবার মানসে বলিলেন যে, তিনি দেবতা নহেন, তিনি একজন মানুষ, জীবনের চরম ও পরম সুখের অনুসন্ধানেই তিনি তথায় আসিয়াছেন । সুজাতা সিদ্ধার্থের কথায় সন্তুষ্ট হইয়া যে দুগ্ধ তিনি বৃক্ষদেবতার জন্য আনিয়াছিলেন, সেই দুগ্ধ সিদ্ধার্থকে দিলেন। সিদ্ধাৰ্থ তাহা স্নানান্তে পান করিলেন । তার পর সারাদিন সন্নিহিত শালবনে অতিবাহিত করিয়া যথায় বোধিবৃক্ষ ছিল সিদ্ধার্থ তথায় আসিলেন। পূর্বদিকে মুখ রাখিয়া তিনি বৃক্ষতলে উপবেশন করিয়া রহিলেন । তিনি মনে মনে এই প্ৰতিজ্ঞা করিলেন, যদি আমার দেহ শুষ্ক বিশুষ্ক হইয়া এই বৃক্ষতলে পড়িয়া থাকে, সেও ভাল, তথাপি আমি যতদিন না। বুদ্ধত্ব লাভ না করিতে পারি, ততদিন উঠিব না। সেই বৈশাখী পূর্ণিমার রাত্রিতে বুদ্ধদেব বুদ্ধত্ব লাভ করিলেন। এই সময়ে তাহাকে প্ৰলুব্ধ করিয়া সাধনা-পথ হইতে চু্যত করিবার জন্য কামরাজ্যের মারি তথায় আগমন করিলেন । মার সিদ্ধার্থের সম্মুখে আসিয়া বলিল, “সিদ্ধার্থ ঐ স্থান হইতে উঠ, ঐস্থানে উপবেশন করা তোমার সাজে না, আমার সাজে ।” সিদ্ধার্থও অমনি তাহাকে বলিলেন, “তুমি জগতের হিতের জন্য কোন কিছু এ পৰ্য্যন্ত কর নাই। জ্ঞানলাভ জন্য কোন দিন চেষ্টাও কর নাই, অতএব এস্থান তোমার উপযুক্ত নহে, এস্থান আমার পক্ষে উপযোগী।” মারি কোন ক্রমেই