পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SVO ংশ-পরিচয় । করিয়াছিলেন। কাজেই অশ্বিনীকুমারকে তিনি স্বাধীনভাবে ওকালতী করিবার জন্য আদেশ প্ৰদান করিলেন। মাত্র তিন বৎসরকাল ওকালতী করিয়া অশ্বিনীকুমার বরিশালের সর্বশ্রেষ্ঠ উকিলে পরিণত হইলেন। ৬/ভূপেন্দ্রনাথ বসু মহাশয় এক সময় বলিয়াছিলেন যে, অশ্বিনীকুমার যদি মনোযোগ দিয়া শুধু আইনের ব্যবসায় করিতেন, তাহা হইলে তিনি স্যর রাসবিহারী ঘোষ মহাশয়ের ন্যায় শ্রেষ্ঠ ব্যবহারাজীব হইতে পারিতেন । কিন্তু ওকালতী করিতে গেলে যে মিথ্যা কথা না বলিয়া থাকা যায় না, ইহা অশ্বিনীকুমার দেখিতে পাইলেন এবং অচিরাৎ ওকালতী ব্যবসায় ত্যাগ করিয়া পবিত্র শিক্ষকতা-কাৰ্য্যে প্ৰবৃত্ত হইলেন। যেদিন অশ্বিনীকুমার ওকালতী পরিত্যাগ করেন, সেদিন দেশের পক্ষে মহাসৌভাগ্যের দিন, সন্দেহ নাই। কারণ, তাঁহারই ত্যাগের দৃষ্টান্ত পরবর্তীকালে অনেক যুবককে ত্যাগধৰ্ম্মে দীক্ষিত করিয়াছিল। ওকালতী পরিত্যাগ করিবার পর তদীয় পিতৃদেব শিক্ষকতা করিতে অশ্বিনীকুমারের প্রবল আগ্রহ দর্শনে তাহার জন্য ব্ৰজমোহন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা করেন। উহা ১৮৮৪ অব্দের ২৭শে জুনের কথা । অশ্বিনীকুমার এই বিদ্যালয়ের অবৈতনিক শিক্ষকতা-পদ গ্ৰহণ করেন। সরকার হইতে র্তাহাকে কোন এক সরকারী বিদ্যালয়ে মাসিক দেড়শত টাকা বেতনের শিক্ষকতা দেওয়া হয়, কিন্তু অশ্বিনীকুমার তাহা গ্ৰহণ না করিয়া ব্ৰজমোহন বিদ্যালয়েই শিক্ষকতা করিতে থাকেন। অন্যান্য উচ্চ ইংরাজী স্কুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিদিষ্ট যে যে পুস্তক অধ্যাপন করা হইত, ব্ৰজমোহন বিদ্যালয়েও তাহ করা হইত বটে, কিন্তু তন্মধ্যে কতকগুলি বিষয়ে ব্ৰজমোহন বিদ্যালয়ের বৈশিষ্ট্য ছিল। এই স্কুলের প্ৰত্যেক ছাত্রকে কতকগুলি স্বাস্থ্যসম্পৰ্কীয় এবং নৈতিক নিয়ম পালন করিতে হইত। প্ৰত্যুষে শয্যাত্যাগ, পরমেশ্বরের নিকট প্রার্থনা, উপাদেয় পুস্তকাদি অধ্যয়ন ইত্যাদি প্রকারের অনেক নিয়ম ছাত্রগণকে