পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N\r বংশ-পরিচয় । বরিশাল কনফারেন্স শেষ হইবার পর বরিশালে দুৰ্ভিক্ষ উপস্থিভ হইল। আশ্বিনীকুমার দুৰ্ভিক্ষ-ক্লিষ্টদের সাহায্যের জন্য প্ৰাণপণ চেষ্টায় প্ৰবৃত্ত হইলেন। এ সময়ে তাহার স্মানাহারের পর্য্যন্ত অবকাশ ছিল না। তিনি ১৬০টি সাহায্য-কেন্দ্ৰ খুলিয়া তথা হইতে দুৰ্ভিক্ষ-ক্লিষ্টদিগকে চাউল, ডাইল প্ৰভৃতি সাহায্য করিতেন। ১৯০৮ অব্দের ১৩ই ডিসেম্বর অশ্বিনীকুমার নির্বাসিত হন। লক্ষ্মেী কারাগারে তঁহাকে বন্দী করিয়া রাখা হয়। তিনি কারাগারে বসিয়া ভগবৎচিন্তা করিতেন। লক্ষ্মেী কারাগারে থাকিবার সময় অশ্বিনীকুমার অধ্যয়ন করিবার সবিশেষ অবসর পান এবং এই সময়ে তিনি অনেক ভগবৎ-সঙ্গীত রচনা করিয়াছিলেন । তাহার আধ্যাত্মিক অনেক কবিতা এবং গান প্ৰাচীন “তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা’য় প্ৰকাশিত হইত। ধৰ্ম্মমতে তিনি উদারচেতা হিন্দু ছিলেন। সরকার মনে করিয়াছিলেন, আশ্বিনীকুমারকে কারাকক্ষে আবদ্ধ করিয়া তাহারা, তাহার স্বদেশ-গ্ৰীতি ধ্বংস করিতে সমর্থ হইয়াছেন ; কিন্তু বস্তুতঃ পক্ষে তাহ হয় নাই। কারাগারে বরং তিনি এত মনের আনন্দে দিন কাটাইতেন যে, তাহার মুখ ও লেখনী দিয়া অনবরত দেশপ্রেমের ক্ষুক্তিমূলক গানসমূহ বাহির হইত। তাঁহার স্বরচিত জীবনচরিত লিখিবার জন্য অধ্যাপক শ্ৰী সতীশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লক্ষ্মেী কারাগারে একখানি বঁাধান খাতা পঠাইয়া দিয়াছিলেন। অনেকে মনে করিয়াছিলেন, আশ্বিনীবাবু নিশ্চয়ই স্বরচিত জীবনচরিত লিখিতেছেন। তিনি মুক্তি পাইলে বঙ্গসাহিত্যের আর একটি সম্পদ বাড়িবে বলিয়া অনেকে আশা করিয়া বসিয়াছিলেন। তাই অশ্বিনীবাবু ১৯৩৯ খ্ৰীষ্টাব্দের ৮ই ফেব্রুয়ারী মুক্তিলাভ করিয়া আসিবামাত্র তাহার ভক্তেরা গিয়া জীবনচরিতের পাণ্ডুলিপি প্রার্থনা করেন। অশ্বিনীবাবু তাহাদের হাতে সেই বঁধান খাতাখানা ফেরত দিয়া বলিলেন, এই লও