পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বৰ্গীয় অশ্বিনীকুমার দত্ত । S8S শুকদেব যেমন মিথিলার রাজপথ, অট্টালিকা প্ৰভৃতি গণনা করিয়াও তঁহার একটি চোখ রাখিয়াছিলেন তৈলপ্রদীপের দিকে, তেমনি অশ্বিনীকুমারও বিষয়-সরোবরে ডুবিয়া থাকিলেও মন ছিল তাহার ভগবানের দিকে। তিনি জীবনে যে কত সাধু মহাত্মাগণের সংসৰ্গ করিয়াছেন তাহার সংখ্যা করা যায় না। কোন স্থানে সাধু সন্ন্যাসী আসিয়াছেন শুনিলে তিনি তৎক্ষণাৎ সেই স্থানে ছুটিতেন। কাশীর ভাস্করানন্দ স্বামী, বৃন্দাবনের রামদাস কাঠিয়া বাবা, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, স্বামী বিবেকানন্দ, প্ৰভুপাদ বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী কোনও সাধুর সহিতই তিনি দেখা করিতে ক্ৰটি করেন নাই। দীর্ঘ চৌদ্দমাস কাল অশ্বিনীকুমার লক্ষ্মেী কারাগারে থাকিয়া যখন ফিরিয়া আসেন, তখন তাহার স্বাস্থ্য একেবারে নষ্ট হইয়া গিয়াছিল। সেই নষ্ট স্বাস্থ্য আর তিনি ফিরিয়া পান নাই। নিৰ্বাসন হইতে ফিরিয়া আসিয়া তিনি নিতান্ত অনিচ্ছাসত্ত্বেও ব্ৰজমোহন কলেজটিকে সরকারের হস্তে অৰ্পণ করেন। যদি সরকারী প্ৰস্তাবে তিনি রাজি না হইতেন তাহা হইলে কলেজটিকে একেবারে তুলিয়া দিতে হইত ; কিন্তু তাহার ফলে বরিশালবাসী ছাত্রদের উচ্চশিক্ষার পথ রুদ্ধ হইবেশুধু খাই আশঙ্কায় অশ্বিনীকুমার কলেজটিকে সরকারের হাতে সপিয়া দিয়াছিলেন। ১৯১৩ খ্ৰীষ্টাব্দে ঢাকা নগরীতে বঙ্গীয় প্ৰাদেশিক সমিতির অধিবেশনে দেশবাসী দেশপূজ্য অশ্বিনীকুমারকে সভাপতির আসনে বরণ করিয়া সমিতিকে গৌরবান্বিত করেন। সভাপতির অভিভাষণে তিনি লোকশিক্ষা, স্বাস্থ্য, সালিসী বিচার প্রভৃতি নানা বিষয়ের আলোচনা করিয়াছিলেন। এই কনফারেনসের পর বহুদিন যাবৎ অশ্বিনীকুমার রোগশয্যায় পড়িয়াছিলেন। এই সময়ে তিনি স্বাস্থ্যলাভের আশায় ভারতবর্ষের যাবতীয় তীর্থস্থান পরিদর্শন করেন। তিনি হিন্দী, আরবী,