পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So বংশ-পরিচয় । দেখিয়া ও সাময়িক সমস্ত সংবাদপত্রাদিতে উচ্চতম প্ৰশংসা লাভ করিয়া তিনি নদীয়ার ঐতিহাসিক তত্ত্ব সংগ্রহ পূর্বক ১৩১৭ সনের ১৪ই ভাদ্র তারিখে তাহার ‘নদীয়া কাহিনী” প্ৰকাশ করেন। জনসাধারণ এই পুস্তক সাদরে গ্রহণ করেন ; ফলে ছয় মাসের মধ্যেই ইহার দ্বিতীয় সংস্করণ প্ৰকাশিত হয়। এতদ্ব্যতীত তাহার প্রণীত শ্ৰীগৌরাঙ্গ, শ্ৰীচৈতন্য, সতীদাহ, চাদমুখ, হজরত মহম্মদ, মহাত্মা কৃষ্ণচন্দ্ৰ প্ৰভৃতি পুস্তকও বিশেষ সমাদৃত হয় । কুমুদ্রনাথের সাহিত্যানুরাগে গ্ৰীত হইয়া নবদ্বীপের পণ্ডিতমণ্ডলী তঁহাকে “পণ্ডিতরত্ন’ উপাধি দেন এবং মুসলমান সমাজের শীর্ষস্থানীয় মৌলবীগণ “জা ওহারে মুরারে রাখিন' অর্থাৎ ইতিহাসশাস্ত্ৰে সুপণ্ডিত এই উপাধি প্ৰদান করেন। সম্প্রতি তিনি Annals of Nadia এবং Sati Rite নামক দুইখানি ইংরাজি পুস্তক সঙ্কলন করিতেছেন। বৈষয়িক কৰ্ম্মে সতত নিরত থাকিলেও তঁাহার লেখনীর दिथांभ नई । বাঙ্গালাদেশে কৃষির অবনতি দেখিয়া তিনি উন্নত বৈজ্ঞানিক কৃষির শ্ৰীবৃদ্ধি-সাধনাৰ্থ স্বয়ং প্রচুর অর্থব্যয়ে কৃষিকাৰ্য্যে রত আছেন। তিনি ও তাহারা সহোদর এতদৰ্থে অক্লান্ত পরিশ্রম ও অর্থব্যয় করিতেছেন। রাণাঘাটে ও সৎসন্নিহিত কয়েকটা স্থানে স্থাপিত আদর্শ কৃষিক্ষেত্ৰ দেখিতে দূরদূরান্তর হইতে লোকে নিত্য আসিতেছে। কৃষিবিষয়ক অভিনব প্রক্রিয়ার উদ্ভাবন দেখাইয়া লোকশিক্ষার বিশেষ ব্যবস্থা করিতেছেন। যে কেহ সেখানে যাইয়া বিনাব্যয়ে অনায়াসে শিক্ষালাভ করিয়া আসিতে পারেন। গুণগ্ৰাহী গভৰ্ণমেণ্ট কুমুদনাথের এইসকল সদগুণের পুরস্কারস্বরূপ ১৯২২ সালের ৩রা জুন তারিখে মহামান্য ভারতসম্রাট সপ্তম জর্জের জন্মতিথি উপলক্ষে তাহাকে রায় বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত করিয়া সম্মানিত করিয়াছেন। এতদুপক্ষে কলিকাতার গবর্ণমেণ্ট হাউসে প্রকাশ্য দরবারে বন্ধেশ্বর লর্ড লিটন বাহাদুর কুমুদ