পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৯৬

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৬৪
বংশ-পরিচয়।

সহিত তাঁহার সৌহৃদ্য হয়। ইহারা সকলেই তখন বালক। দিঘাপতিয়ার রাজা প্রমথনাথের সহিত বিশেষভাবে তাঁহার বন্ধুত্ব হয়, যেহেতু তিনি কিশোরীলালের সহপাঠী ছিলেন। কবিবর ৺নবীনচন্দ্র দাস ইহাদিগকে শিক্ষাদান করিতেন। এই ওয়ার্ড্‌স ইন্‌ষ্টিটিউসনে কয়েক বৎসর থাকিয়া কিশোরীলাল এফ্‌-এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তখন তাঁহার বয়স ২২ বৎসর মাত্র। সাবালকত্বে উপনীত হওয়ায় কোর্ট অব ওয়ার্ড্‌স তাঁহাকে তাঁহার সম্পত্তি প্রত্যাৰ্পণ করিলেন এবং এক লক্ষ টাকাও দিলেন। কিশোরীলাল তাড়াশের জমিদারী পরিচালনার সমস্ত বিধিব্যবস্থা করিবার পর পাবনা রামনগরের ৺জগদানন্দ রায় মহাশয়ের কন্যা শ্রীমতী কৃষ্ণকামিনীর পাণিগ্রহণ করিলেন। বিবাহের কিছু দিন পরে তিনি কলিকাতা বরাহনগরে আসিয়া বাস করেন। কুমার দৌলতচন্দ্র রায়, স্বৰ্গীয় কৃষ্ণবিহারী সেন, পণ্ডিত জীবানন্দ বিদ্যাসাগর ও ভূকৈলাশের স্বৰ্গীয় মহারাজের সহিত তাঁহার সৌর্হাদ্দ্য স্থাপিত হয়। স্বৰ্গীয় রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্র তাহাকে বিশেষ স্নেহ করিতেন।

 ১২৭৬ সালের ৩০শে আশ্বিন কিশোরীলালের একটি কন্যা হয়। শরৎকালে কন্যাটি জন্মগ্রহণ করে বলিয়া তাহার নাম শরৎকুমারী রাখা হয়। তার পর ৭।৮ বৎসর পরে কিশোরীলাল দমদমার নিকট আসিয়া একটি প্রকাণ্ড রাসবাটী নির্ম্মাণ করেন। এই সময়ে তিনি ভারতের নানাস্থান ভ্রমণ করিতে করিতে ভূস্বৰ্গ কাশ্মীর পরিদর্শন করেন। কাশ্মীরের নৈসর্গিক সৌন্দর্য্য তাঁহাকে এতদূর মুগ্ধ করিয়াছিল যে, তিনি ফিরিয়া আসিয়া নবনির্ম্মিত প্রাসাদের নাম “শ্রীনগর ভিলা” রাখিয়াছিলেন। তাঁহার সভাসদ্‌গণের অন্যতম ৺রসিকলাল ঘোষ বিদ্যারত্ন সেই প্রাসাদের প্রবেশদ্বারে পিত্তল ফলকে যাহা লিখিয়াছিলেন অদ্যাপি তাহা বর্ত্তমান আছে। সেই কথাগুলি এইঃ—

 “শুভ শকাব্দ ১৭৯৮ সংবৎসরের ক্ষত্রিয় নামান্তর কায়স্থজাতীয়