পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উলা দক্ষিণপাড়ার “ছোট মিত্ৰ”-বংশ । S ዓዪ9 নির্ণয় করা সহজসাধ্য নহে। বহু চিন্তার ফলে এই ক্ষমতা জন্মায়। পত্রের মৰ্ম্ম সঠিক বুঝিয়া উপযুক্ত স্থানে উপযুক্ত কথা ব্যবহার করতঃ উত্তর লিপিবদ্ধ করা একমাত্ৰ শক্তিশালী ব্যক্তির পক্ষেই সম্ভব। হেমচন্দ্রের পত্ৰোত্তর কাব্যে সেই শক্তির পরিচয় পাওয়া যায়। এই গ্রন্থের নানাস্থানে অতি উচ্চ ধরণের উক্তি, উপমা ও কবিত্ব আছে।” হেমচন্দ্ৰ মিত্রের দুই পুত্ৰ-জ্যেষ্ঠ বিভূতিভূষণ ও কনিষ্ঠ ইন্দুভূষণ। বিভূতিভূষণ সন ১২৯৬ সালের ৫ই চৈত্র ( ১৮৯০ খৃষ্টাব্দের ১৭ই মার্চ) উলার বাটীতে জন্মগ্রহণ করেন। ইনি ১৯০৫ খৃষ্টাব্দে বঙ্গবাসী কলেজিয়েট স্কুল হইতে এণ্টন্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া প্রেসিডেন্সি কলেজে ভৰ্ত্তি হন। তথা হইতে তিনি ১৯০৯ খৃষ্টাব্দে বি-এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি সংস্কৃত পাস কোসে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্থান অধিকার করিয়া “গঙ্গামণি দেবী” রৌপ্যপদক পুরস্কার পাইয়াছিলেন। ১৯১৪ খৃষ্টাব্দে তিনি বি-এল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরীক্ষার পূর্বরাত্ৰিতে তাহার পিতার মৃত্যু হয়। বিভূতিভূষণ বি-এল পাশ করিয়াছেন বটে, কিন্তু ওকালতি করেন না। তিনি ওকালতি করিবার সঙ্কল্প ত্যাগ করিয়া ১৯১৮ খৃষ্টাব্দ হইতে আইন পুস্তকরচনায় প্ৰবৃত্ত হন। তদবধি তিনি আইন-গ্ৰন্থ-প্ৰণয়নেই ব্ৰতী আছেন। পূৰ্বপুরুষের ও স্বকীয় জন্মভূমি উলার প্রতি র্তাহার যে প্রগাঢ় অনুরাগ আছে, উলার স্বাস্থ্যোন্নতি-সাধনের জন্য র্তাহার কীৰ্ত্তিকলাপাই উহার নিদর্শন। উলাবাসীর কল্যাণের জন্য তিনি মুক্তহস্তে অর্থসাহায্য করিতেছেন। উলাবাসী যাহাতে বিশুদ্ধ পানীয় জল প্ৰাপ্ত হয় সেইজন্য তিনি বহু অর্থব্যয়ে ছয়টিী গভীর নলকুপ ( Deep Tubewell) তৈয়ারী করিয়া দিয়াছেন। বীরনগর পল্লীমণ্ডলী নামক ম্যালেরিয়া-নিবারণী সমিতি তঁাহার প্রদত্ত অর্থসাহায্যের বলে গ্রামের স্বাস্থ্যোন্নতিকর বহু কাৰ্য্য করিতেছেন। বিভূতিভূষণ উলাচণ্ডীতলা ও দক্ষিণপাড়ার বারোয়ারীর গৃহাদি মেরামত