পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sbነኀፖ द६o-oब्रि5िभ । হন নাই। তঁহার দ্বিতীয়া পত্নী মাজপাড়া-নিবাসী বাবু রামকুমার বস্তুর কন্যা শ্ৰীমতী প্ৰাণকুমারী চৌধুরাণী। রামকুমারবাবু একটী বড় হোসের মুঙ্গুদি ছিলেন। তারাশঙ্কর বাবুর পত্নীভাগ্য ভাল ছিল, এই কন্যাও অতিশয় সুশ্ৰী ও সুরূপা ছিলেন। রামবাবুর রাক্সার বহুবংশীয় ছিলেন, তাহদের কলিকাতায় চুণাপুকুরে নিজ বাটী ছিল ও তিনি অবস্থাপন্ন লোক ছিলেন। শ্ৰীমতী প্ৰাণকুমারীর বিবাহের পর প্ৰায় ষোড়শ বর্ষ অতীত হইল। কিন্তু তাহার কোন সন্তানাদি না। হওয়াতে জগৎ তারা চৌধুরাণী অত্যন্ত নিরাশ ও মনঃক্ষুন্ন হইয়া পড়েন। যে শ্বশুর-কুলের বংশ-রক্ষার জন্য নিজের সুখ ও স্বার্থ বলি দিয়া সপত্নীকে ঘরে আনেন, সেই সপত্নীর পুত্র না হওয়াতে তিনি বড়ই অধীরা হইয়া স্বামীকে পোষ্যপুত্ৰ-গ্ৰহণের জন্য উৎসাহিত করিয়া তুলেন। তারাশঙ্করবাবু অত্যন্ত হৃদয়বান ও মিষ্টভাষী পুরুষ ছিলেন। তিনি তঁহার মাতৃদেবী ভানুমতী চৌধুরাণীর নামে কালীঘাটে ‘গঙ্গার ঘাট বাধাইয়া দেন ও সেই ঘাটের উপর দোতালা বাটী নিৰ্ম্মাণ করিয়া মাতার গঙ্গাবাসের ব্যবস্থা করেন। অন্নমেরু এবং তুলা প্রভৃতি ব্ৰত ভঁাহার মাতৃদেবীর দ্বারা অনুষ্ঠিত হয়। প্ৰায় ৩/৪ মাস। অষ্টাদশ পর্ব মহাভারত টাকীর বাড়ীতে দেওয়া হয়। এই সময় তিনি স্বয়ং সমাগত ব্ৰাহ্মণদিগের পাদ প্ৰক্ষালন করিয়া মার্জনা করিয়া দিতেন। মহাভারত শেষ হওয়ার সময় অতিশয় সমারোহ হইয়াছিল এবং স্বয়ং দক্ষিণের বাটীর বাবুৰ মথুরানাথ মুন্সী মহাশয় কর্তৃত্বভার গ্রহণ করিয়াছিলেন। তারাশঙ্করবাবু টাকীতে দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন করেন। দত্তক-গ্ৰহণের কিছুদিন পরেই বাবু তারাশঙ্করের মৃত্যু হয়। তখন দত্তক অক্ষয়কুমার ষষ্ঠবর্ষীয় বালকমাত্র। বাবু দুৰ্গাপ্ৰসাদ ঘোষ তখন ২৪ পরগণার ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেটু ও ডেপুটি কলেকটার ছিলেন। তিনি সর্বদাই টাকী, দেভোগ ইত্যাদি পরিদর্শনে যাইতেন, তৎসুত্রে তারাশঙ্করের