পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SGdR বংশ-পরিচয় । ব্যথিত হইয়া বলেন, “আমার স্ত্রী সসত্ত্বা, এই গর্ভে স্তভ্রানপুস জন্মিলে আমি আপনাদের দান করিব।” বাবু জগদীশচন্দ্ৰ তাহার শ্যালিকাকে মাতৃসমা শ্রদ্ধা করিতেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, নলিনীবালার সেই গর্ভে একটি সুকুমারী কন্যা জন্মগ্রহণ করেন। তখন জগৎতারা চৌধুরাণী অত্যন্ত নিরাশ হইয়া কলিকাতায় আসিয়া তাহার বৈবাহিক চন্দ্ৰীমাধববাবুকে বিশেষ করিয়া অনুরোধ করেন যাহাতে জগদীশবাবু তাহার কনিষ্ঠ পুত্ৰ শ্ৰীমান সরোজকুমারকে ষোড়শীবালার হন্তে দান করেন । তখন সরোজকুমার চারিবৎসর বয়স্ক বালকমাত্ৰ । সরোজকুমার অত্যন্ত সুদৰ্শন ও পিতা-মাতার অতিশয় প্রতিভাজন ছিলেন। অনেক উপরোধ-অনুরোধের পর জগদীশ তাহার প্ৰিয় পুত্রটাকে দত্তক দিতে সম্মত হয়েন। এই সময় চন্দ্ৰীমাধববাবু হাইকোটের বিচারপতি ছিলেন ও জগদীশবাবু সাব ডেপুটীর পদে ওপিয়াম এজেণ্ট। নিযুক্ত হইয়াছিলেন। মহাসমারোহে ভবানীপুরে ষোড়শীবালা চৌধুরাণী দত্তক গ্ৰহণ করেন ও বালকের নাম অশোককুমার রায়চৌধুরী রাখা হয়। জগদীশবাবুর টাকীর বাবুদের সপিণ্ড জ্ঞাতি। শ্ৰীমান্য অশোককুমার অতিশয় মেধাবী ও পরিশ্রমী ছিলেন, ইনি ত্ৰয়োদশ বর্ষে ডেভেটন কলেজ হইতে প্ৰবেশিকা পরীক্ষায় প্ৰশংসার সহিত উত্তীর্ণ হয়েন ও স্কুলের মেডেল প্ৰাপ্ত হন । এইরূপে পঞ্চদশ বর্ষে এফ-এ, এবং সপ্তদশ বর্ষে বি-এ ও উনবিংশ বর্ষ বয়সে এম-এ ও আইন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েন। তৎপরে ইনি হাইকোর্টে ওকালতী আরম্ভ করেন। এই সময় উলপুরনিবাসী তারাপ্ৰসাদ বসু রায়চৌধুরী মহাশয়ের চতুর্থ কন্যা শ্ৰীমতী চারুলতার সহিত ইহার শুভপরিণয় সম্পন্ন হয়। উলপুরের বসুবংশ কুলীন ও টাকী-সমাজে প্ৰতিষ্ঠাবান। টাকীর অধিকাংশ বড় ঘরের সমস্ত বধুই উলপুরের রায়-চৌধুরীদের কন্যা। হাইকোর্টে দুই বৎসর ওকালতী করার পর অশোককুমারের স্বাস্থ্য খারাপ হয়। তাহার ব্যারিষ্টর হুইবার