পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R o R বংশ-পরিচয় । ১৯১৭ সালে কলিকাতায় যে নিখিল ভারতীয় মাদক-নিবারণী কনফারেন্স হয় তিনি তাহার সভাপতি নিযুক্ত হন। ১৯২০ সালে নাগপুরে যে সপ্তম বিজ্ঞান কমিটি হয় তিনি তাহাতে Choise of food সম্বন্ধে বক্তৃতা করেন। ১৯২০ সালের মার্চ মাসে ঢাকা শিল্প-সামাজিক প্রদর্শনীতে তিনি খাদ্য সম্বন্ধে দুইটা হৃদয়গ্ৰাহী বক্তৃতা করেন। ইহা ছাড়া বঙ্গীয় সাহিত্য-পরিষদ, বিজ্ঞান-সভা প্রভৃতিতে যে কত বক্ততা করিয়াছেন তাহার। আর সংখ্যা নাই। ১৯২০ সালে কলিকাতার টাউন &ce Child Welfare Exhibitions Impure air and Infant mortality সম্বন্ধে তিনি বক্তৃতা করেন। স্যার লিওনার্ড রজাস কুষ্ঠব্যাধি সম্বন্ধে যে ঔষধ আবিষ্কার করিয়াছেন, ডাক্তার বসু সে বিষয়ে তাহাকে বিশেষরূপে সাহায্য করেন । কলিকাতা মেডিকেল কলেজে অধ্যাপকদের প্রকোষ্ঠে ডাক্তার বসুর একখানি প্ৰতিকৃতি রক্ষিত হইয়াছে। ১৯২০ সালের ১২ই সেপ্টেম্বর সরকারের অধীনে ৩৪ বৎসর ৫ মাস ও ১৩ দিন কাজ করিবার পর রায় বাহাদুর অবসর গ্ৰহণ করেন । ডাক্তার বসু, হাবড়া ব্ৰাহ্মণপাড়ার স্বৰ্গীয় গৌরকিশোর সরকারের জ্যেষ্ঠা কন্যাকে বিবাহ করেন। তঁহার দুই পুত্র ও দুই কন্যা। জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ অনিলপ্রকাশ বসু এম-এ বারিষ্টার এবং কনিষ্ঠ পুত্ৰ জ্যোতিপ্ৰকাশ বসু এম-বি বহুমূত্র রোগ সম্বন্ধে মৌলিক গবেষণা-কাৰ্য্যে কলিকাতা ট্রপিকাল স্কুলে নিযুক্ত রহিয়াছেন। ১৯২১ সালে ডাক্তার বসু কলিকাতার সেরিফ নিযুক্ত হন। ডাক্তার বসু বঙ্গীয় গবৰ্ণমেণ্ট কর্তৃক মেণ্ডিকেন্সী কমিটি, ট্রামওয়ে ধৰ্ম্মঘট কমিটি, হাওড়া আমতা লাইট রেলওয়ে ধৰ্ম্মঘট কমিটিতে সভ্য নিযুক্ত হইয় ছিলেন ।