পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আচাৰ্য্য স্যার জগদীশচন্দ্ৰ বসু। R র্তাহার মাতা সেই বালকদিগকে যত্বের সহিত নানা খাদ্যসামগ্ৰী शिा अंब्रिड्श्श्रु कब्रिल्डन। डिनि निर्धादडी श्लूि भश्लिा श्cल७ ইহাদিগকে দেখিয়া তাহার মনে ঘূণার ভাব আসিত না-তিনি আপন পুত্রের ন্যায় ইহাদিগকে স্নেহ করিতেন। এইরূপ স্নেহময়ী জননীর ক্ৰোড়ে বালক জগদীশচন্দ্ৰ লালিত, পালিত, বৰ্দ্ধিত এবং শিক্ষা লাভ করেন। তঁহাকে সহর হইতে গ্ৰাম্য পাঠশালায় লইয়া যাইবার ও ফিরাইয়া আনিবার ভার যে ব্যক্তির উপর ছিল, সে ব্যক্তি হিন্দুস্থানী দ্বারবান ছিল না, সে এ দেশীয় লোক-পূর্বে একজন ডাকাত ছিল। এদেশের ধনবান লোকমাত্রই বাড়ীতে হিন্দুস্থানী দ্বারবান রাখেন, হিন্দুস্থানী দ্বারবান না হইলে তঁহাদের আভিজাত্যের পরিচয় দেওয়া হয় না। কিন্তু জগদীশচন্দ্রের পিতা সরকারী চাকুরী করিলেও প্ৰাদেশিক স্বাতন্ত্র্য রাখিবার বলবতী ইচ্ছা তঁহার ছিল। Bengal for Bengalis এই নীতি তিনি অক্ষরে অক্ষরে পালন করিয়া চলিতেন । এই যে ডাকাতের উপর তাহার চারিবৎরের শিশু পুত্ৰকে গ্ৰাম্য পাঠশালায় লইয়া যাইবার এবং ফিরাইয়া আনিবার ভার তিনি দিয়া ছিলেন, সে যে একজন সাধারণ ডাকাত ছিল তাহা নহে, সে ছিল একজন ডাকাতের সর্দার। সে বহুস্থানে ডাকাতি করিয়াছিল এবং পুলিশ তাহাকে গ্রেপ্তার করিবার জন্য বহুদিন হইতে চেষ্টা করিতেছিল, অবশেষে ভগবান বাবু একদিন একাকী এই ডাকাতকে ধরিয়া ফেলেন। বিচারে তাহার দীর্ঘ কালের জন্য কারাদণ্ডের আদেশ হয়। তার পর সে মুক্তি লাভ করিয়া ভগবান বাবুর নিকট আসিয়া অনুতাপ প্ৰকাশ করে ও সৎভাবে জীবন যাপন করিবার ইচ্ছা জ্ঞাপন করে। ভগবানবাবু পাপীকে ক্ষমা করিয়া তাহাকে সৎপথে আনিতে জানিতেন। তিনি ইহাই মনে করিতেন, চোর, দন্ত্র্য, তস্কর, পতিতা, মদ্যপ অথবা ধৰ্ম্মত্যাগীরা যদি অনুতপ্ত হইয়া সৎভাবে জীবন যাপন করিতে চায়, তাহা হইলে