পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RSRS ংশ-পরিচয় । অত্যন্ত প্ৰশংসাই করিয়াছেন। এখন ইহা স্পষ্টভাবে প্ৰমাণিত ও স্বীকৃত হইয়াছে যে, প্রাচ্যের চিন্তাধারার সহিত প্রতীচ্যের বাস্তব একত্ৰ সম্মিলিত হইয়া বিজ্ঞান-জগতে একটা নূতন যুগের সৃষ্টি করিবে।” ভারতবর্ষে সম্মান গেয়ে যোগীর ভিখ মেলে না, ইহা সত্য, বটে ; কিন্তু আচাৰ্য্য জগদীশচন্দ্রের বেলায় ইহা খাটে না । তিনি ভারতবর্ষে যে পরিমাণ সম্মান লাভ করিয়াছেন, তাহা সকলের ভাগ্যে ঘটিয়া উঠে না । কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাহাকে “ডাকটর অব সায়েন্স” উপাধি প্ৰদান করেন। ১৯১৩ খ্ৰীষ্টাব্দে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় তাহাকে বিজ্ঞান বিষয়ে তিনটি বক্ততা করিবার জন্য আহ্বান করেন। তৎপূর্বে আর কোনও বাঙ্গালীকে পঞ্চনদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্ততা করিবার জন্য আহবান করা হয় নাই। ডাঃ বসুর পরে স্যর প্রফুল্লচন্দ্র রায় পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন সম্বন্ধে বক্তৃতা করিতে আহুত হন। তিনটি বক্তৃতার পারিশ্রমিকস্বরূপ ডাঃ বসুকে পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় ১২শত টাকা প্ৰদান করিয়াছিলেন। ডাঃ বসু সেই টাকা পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়েই দান করেন এবং প্ৰস্তাব করেন, ঐ টাকা হইতে প্ৰতি মাসে একশত টাকা করিয়া একজন গবেষণাকারী ছাত্রকে প্ৰদান করা হইবে। পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা-প্রসঙ্গে ডাঃ বসু বলেন-পঞ্চব্বিশ শতাব্দী পূর্বে বঙ্গদেশ হইতে জীবক নামে একজন জ্ঞানান্বেষী তক্ষশিলায় আসিয়াছিলেন, এই জীবক পরিশেষে বুদ্ধদেবকে চিকিৎসা করিয়াছিলেন। পঞ্চবিংশ শতাব্দী পরে আর একজন জ্ঞানান্বেষী যাহা কিছু জ্ঞান সঞ্চয় করিয়াছেন, তাহা লইয়া আপনাদের দ্বারে উপস্থিত হইয়াছেন। জ্ঞান বস্তুটি কোন বিশেষ লোকের নিজস্ব সম্পত্তি নহে; কিংবা ভৌগোলিক সীমার মধ্যে জ্ঞান আবদ্ধ থাকে না । গ্রীক ও আৰ্য্য উভয় জাতি৷ এই তক্ষশিলায় পরস্পরের জ্ঞান-বিনিময়