পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আচাৰ্য্য স্যার জগদীশচন্দ্ৰ বসু। RR& করিবার জন্য সম্মিলিত হইয়াছিল। বহু বর্ষ পরে প্রাচ্য ও প্ৰতীচ্য আবার সম্মিলিত হইয়াছে।” জগদীশচন্দ্রের আবিষ্কার স্যর জগদীশের আবিষ্কার কি ? কি জন্য তিনি আজ জগদ্বিখ্যাত হইয়াছেন ? তিনি এই আবিষ্কার করিয়াছেন যে, বৃক্ষের জীবনে এবং মানুষের জীবনে কোন প্ৰভেদ নাই । ডাঃ বসু আরও আবিষ্কার করিয়াছেন যে, রাত্রি ১২টার সময় বৃক্ষসকল নিদ্রা যায় এবং প্ৰাতে ৮টার সময় তাহারা গাত্ৰোখান করে। মৃত্যুকালে মানুষের ন্যায় বৃক্ষেরাও অসহনীয় যন্ত্রণা-ভোগ করিয়া থাকে। ডাঃ ৰসু এই আবিষ্কার করিয়া জাৰ্ম্মাণ বৈজ্ঞানিকদিগের সমস্ত আবিষ্কারকে একেবারে স্তম্ভিত করিয়া দিয়াছেন । আবিষ্কারের ফল কেহ কেহ জিজ্ঞাসা করিতে পারেন, এই সমস্ত আবিষ্কার অপূর্ব সন্দেহ নাই, কিন্তু ইহাতে জগতের কি উপকার হইবে ? ইহা কি মানবজাতির চিরন্তন দুঃখ-দারিদ্র্য দূর করিবে ? এ কথার উত্তর আমরা বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক ফ্যারাডের ভাষায় দিতেছি । ফ্যারাডে। বলিয়াছেন, “বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের যদি কোন ফল না হয়, তব সদ্যোজাত শিশুতেই বা কি ফল ? কে জানে। সেই শিশু দ্বারা ভবিষ্যতের কি ফল হইবে ? পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণশক্তি যখন প্ৰথম আবিষ্কৃত হয়, তখন কে আশা করিয়াছিল যে, ইহা দ্বারা জগতের মহা কল্যাণসাধন হইবে ? কে জানে, ডাঃ জগদীশচন্দ্রের এই আবিষ্কার ভবিষ্যতে চিকিৎসা ও কৃষি-জগতের মহাপরিবাৰ্ত্তন সাধন করিবে কি না ?” বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক পত্ৰ The Lancetও ডাঃ বসুর আবিষ্কারের ভাবী। উপকারিতা সম্বন্ধে অনেক কথা লিখিয়াছেন এবং এই আবিষ্কারের দ্বারা কৃষি-জগতের যে মহাকল্যাণ সাধিত হইবে, একথাও লিখিয়াছেন। t