পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RVo "-f5 স্পাঠীতে জগন্নাথ পড়িতে আরম্ভ করেন। এই চতুষ্পাঠীতে অধ্যয়নকালে জগন্নাথের বিদ্যাবত্তার খ্যাতিতে চতুর্দিক মুখরিত হইল। তিনি অধ্যাপকের নিকট ন্যায়দর্শনের সঙ্গে সঙ্গে অপরাপর শাস্ত্ৰও অধ্যয়ন করিতেন। এমন কি পাসী ভাষার পুস্তকও তিনি শুনিয়া শুনিয়া কণ্ঠস্থ করিয়া ফেলিয়াছিলেন । জগন্নাথের গায়ের রং নিখুঁত গৌরবর্ণ না হইলেও উজ্জল শ্যামবর্ণ ছিল এবং তাহাতেই তাহাকে অতি সুন্দর দেখাইত । তঁহার আয়ত কলেবর, লোমশ দেহ, দীর্ঘ বাহু, বৃহৎ মস্তক, উন্নত নাসিকা, উজ্জল চক্ষু, প্রশস্ত ললাট অসামান্য প্ৰতিভার পরিচয় প্ৰদান করিত। জগন্নাথের বয়স যখন চতুৰ্বিংশতি বৎসর মাত্র, তখন র্তাহার পিতা রুদ্রদেব স্বৰ্গারোহণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি কিছু তৈজসপত্র, সামান্য পরিমাণ অর্থ ও বার্ষিক ৫০২ টাকা উপস্বত্বের নিষ্কর ভূমি ভিন্ন অন্য কিছুই রাখিয়া যাইতে পারেন নাই। যাহা কিছু তৈজসপত্র ছিল, তৎসমস্ত ব্যয় করিয়া জগন্নাথ পিতার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সমাপন করিলেন। ফলে এরূপ দাড়াইল যে, তঁাহাকে কলার পাতে করিয়া খাইতে হইত। এইরূপ দুঃখ-কষ্টের মধ্যে পড়িয়াও তিনি সংস্কৃতশাস্ত্ৰ অধ্যয়ন করিয়া “তর্কপঞ্চানন” উপাধি লাভ করেন এবং পিতার চতুষ্পাঠীতে বসিয়া নানা ছাত্রকে বিদ্যাদান করিতে থাকেন। একদিন তঁহার কুলগুরু চাতরাবি ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় তাহদের বাটীতে আসিয়া দেখেন যে, জগন্নাথের শৌচত্যাগ করিবার একটি গাডু পৰ্য্যন্ত নাই। ইহা দেখিয়া তিনি চানকের চৌধুরীদের বাটীতে এক কৰ্ম্মোপলক্ষে জগন্নাথকে নিমন্ত্ৰণ করিয়া একটি গাড়ু বিদায় দেওয়াইয়াছিলেন। জগন্নাথ তর্কপঞ্চাননের অধ্যাপক-হিসাবে ইহাই প্ৰথম উপাৰ্জন । ক্রমশঃ তাহার যশোরাশি চতুৰ্দ্ধিকে বিস্তৃত হইল, তিনি নানা স্থান হইতে নিমন্ত্রণ পাইতে লাগিলেন। তঁহার চতুষ্পাঠীতে ছাত্ৰগণ ন্যায়, স্মৃতি,