পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SR\SSR 빠-fl5 | DDD DBBBDBD SBDD BDBDS S DB BBDS DBBD S BDD করেন । এক সময়ে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় গুপ্তপল্লীর বিখ্যাত কবি বাণেশ্বর বিদ্যালঙ্কারকে বলেন, “এক সপ্তাহের মধ্যে একটি নূতন কবিতা রচনা করিয়া দিতে পারিলে একশত রৌপ্য মুদ্রা ও একশত বিঘা জমি পুরস্কার দিব।” বাণেশ্বর তদনুসারে একটি কবিতা রচনা করিয়া রাজাকে দিলেন ; কিন্তু রাজা সেই কবিতার ভাব নূতন ও মৌলিক কি না তাহা জানিবার জন্য জগন্নাথ তর্কপঞ্চাননকে দেখাইলেন । জগন্নাথ তৎক্ষণাৎ সাধু তুলসীদাসের নিম্নলিখিত দোহাটি আবৃত্তি করিয়া বলিলেন মহারাজ কবিতাটির ভাব তুলসীদাসের দোহার অনুরূপ। ব্যাস, বাল্মিকী ও কালিদাস-ই হারাই যাহা কিছু নূতন ও মৌলিক রচনা করিয়া গিয়াছেন। আর কে মৌলিক কবিতা রচনা করিবে ? এই বলিয়া তিনি তুলসী দাসের দোহাটি আবৃত্তি করিলেন “জগমে তোম যাব আয়া, সব হাসা, তোম রোয় । এয়স কাম করে পিছে হাসি ন হোয় ॥” রাজা ইহাতে জগন্নাথের প্রতি বিশেষ প্রীত হইলেন। তিনি জগন্নাথের সাহায্যকল্পে তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনার কি প্রকারে সংসারযাত্ৰ নিৰ্বাহ হয় ?” জগন্নাথ বলিলেন, “বৰ্দ্ধমানাধিপতির ও শূদ্রমণির জমিদারগণের অনুগ্রহে তাহার সংসারযাত্রা স্বচ্ছন্দে নিৰ্বাহ হয়।” রাজা কৃষ্ণচন্দ্ৰ যতই বদ্যান্যবর, বিদ্যোৎসাহী ও পরোপকারী থাকুন না কেন, তিনি বৰ্দ্ধমানাধিপতির নাম শুনিতে পারিতেন না । বৰ্দ্ধমানের রাজার নাম শুনিয়া কি ভাবে তিনি জগন্নাথকে সমাজে অপদস্থ করিবেন, সেই বিষয় ভাবিতে লাগিলেন। বাহিরে জগন্নাথের সহিত হাসিমুখে দুই চারিটা কথাবাৰ্ত্তা বলিলেও কি করিয়া তাহার সর্বনাশ সাধন করিবেন, ইহা ভাবিতে লাগিলেন। তিনি তখন অসীমপ্ৰতাপ