পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&Vor বংশ-পরিচয় । মহিলার উপর অত্যাচার করে নাই, কিংবা তর্কপঞ্চাননের অবৰ্ত্তমানে র্তাহার সিন্দুক ইত্যাদিতে পৰ্য্যন্ত হস্তক্ষেপ করে নাই। গবৰ্ণমেণ্ট তদবধি তর্কপঞ্চাননের সম্পত্তি-রক্ষার জন্য বার জন শান্তিরক্ষক ও একজন জমাদার নিযুক্ত করিয়া দিয়াছিলেন। জগন্নাথের অদ্ভুত মেধাশক্তি সম্বন্ধে একটি জনশ্রুতি প্ৰচলিত আছে। জনশ্রুতিটি এই, একদা ইংলণ্ড ও ফ্রান্স দেশীয় দুই জন সম্রান্ত ব্যক্তি নৌকাযোগে ত্ৰিবেণীতে উপস্থিত হন; কোন কারণে উভয়ে নিজ নিজ দেশীয় ভাষায় প্ৰথমে বাকুবিতণ্ডা করিয়া পরে পরস্পরে দ্বন্দ্বযুদ্ধ আরম্ভ করেন। সুপ্রিম কোর্টে উভয়ে উভয়ের নামে অভিযোগ করেন। বিচারক সাক্ষী তলব করিলে সাহেবদ্বয় বলেন, “ঘটনাস্থলে আর ত কোন ব্যক্তি ছিলেন না, কেবল ছিলেন একজন প্ৰাচীন হিন্দু, তিনি তখন স্নান করিতেছিলেন।” স্নানরত ব্যক্তির আকার-প্রকারের ব্যাখ্যা শুনিয়া বিচারক স্থির করিলেন, এই ব্যক্তি জগন্নাথ তর্কপঞ্চানন ভিন্ন আর কেহ নহে। তিনি জগন্নাথকে সাক্ষ্য দিবার জন্য আহবান করিলেন এবং জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনি এই দুই ব্যক্তিকে চিনিতে পারেন কি ?” জগন্নাথ বলিলেন, “হঁ। চিনিতে পারি, তবে ইহারা পরস্পরে যে কথাবার্তা বলিয়া শেষে দ্বন্দ্বযুদ্ধে প্ৰবৃত্ত হইয়াছিলেন, দোষের কি গুণের সে বিচার করিতে পারি না । কেবল অবিকল উভয়ের কথা যথাযথ বলিয়া যাইতে পারি।” বিচারকের আদেশে জগন্নাথ তাহাই করিলেন, উভয়ে যে যেরূপ ভাষায়, যেরূপ ভাবে ঝগড়া করিয়াছিলেন জগন্নাথ অবিকল তাহা বিবৃত করিলেন দেখিয়া সকল লোকে অবাক, হইল-অভিযোক্তাদ্বয়ও পরস্পরের দোষগুণ স্মরণ হওয়াতে লজ্জিত হইয়া পরস্পরের করমর্দন করিয়া পরস্পরের নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করিলেন এবং বিচারক মামলাটি আপোষে নিম্পত্তি করিয়া দিলেন । জগন্নাথের নিকট অনেক ছাত্ৰ অধ্যয়ন করিত। তিনি ছাত্ৰাদিগকে