পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামদাস স্বামী RGt6t খোজ রবি পড়িয়া গেল। এদিকে রামদাস নানা তীর্থস্থান ভ্ৰমণ করিতে করিতে এবং শ্ৰীরামচন্দ্রের বিগ্রহ পূজা করিতে করিতে সিদ্ধি প্ৰাপ্ত হইলেন। এস্থলে সাকারোপাসনার প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে কিছু বলা প্রয়োজন। তাহাতে র্যাহারা বিগ্ৰহ-পূজার বিরোধী তাঁহাদের ভ্ৰান্ত ধারণা অনেকটা অপনোদিত হইবে বলিয়া আশা করি। সাকারোপাসনা না করিলে কেহ নিরাকার ব্ৰহ্মের ধ্যান-ধারণা ও কল্পনা করিতে পারে না। তীরন্দাজ যেমন অগ্ৰে নিকটবৰ্ত্তী কোন স্কুল বস্তুতে দৃষ্টি নিবদ্ধ করিয়া ক্ৰমশঃ চক্ষুর অগোচর অতি সুক্ষ্ম বস্তুতেও তীর নিক্ষেপ করিয়া তাহা বিধিতে পারে, তদ্রুপ অগ্ৰে স্কুলের উপাসনা করিয়া পরে নিরাকার নিগুৰ্ণ ব্ৰহ্মে চিত্তসংযোগ করিতে হয়। সেইজন্য সাধনার প্রথম অবস্থায় উপাসনায় নিতান্ত প্ৰয়োজন। রামদাস এই সাধনাতে সিদ্ধি লাভ করিয়া মহাবলেশ্বরে আসিয়া একটি আশ্রম প্ৰতিষ্ঠা করিলেন । তখন ছত্রপতি শিবাজী রামদাসের মাহাত্ম্য শুনিয়া তাহার নিকট আসিয়া দীক্ষাপ্রার্থী হইলেন। রামদাস। তঁহাকে দীক্ষা দিলেন এবং শিবাজী অতঃপর কি করিবেন-এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিলে রামদাস উত্তর করিলেন, “কেন। বৎস! বিদেশী মোগল বাহিনীর সহিত যুদ্ধ করিয়া জন্মভূমিকে রক্ষা করিবার যে চেষ্টা করিতেছ, সেই তোমার পরম ধৰ্ম্ম ; তুমি সেই ধৰ্ম্ম পালন কর, তাহাতেই তোমার মুক্তি হইবে জানিবে।” শিবাজী রামদাসের অনুপ্রেরণায় অনুপ্ৰাণিত হইয়া মোগলের সহিত পূৰ্ব্বাপেক্ষা আরও দ্বিগুণ তেজে যুদ্ধ করিতে প্ৰবৃত্ত হইলেন, যুদ্ধে বিজয়লক্ষ্মী তঁহারই অঙ্কশায়িনী হইল। রামদাসের এই উপদেশের সহিত আমরা গীতায় ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণ-কথিত অৰ্জ্জুনের প্রতি বীর-বাণীর সামঞ্জস্য দেখিতে পাই। দেশরক্ষাই যে পরম ধৰ্ম্ম এবং ইহা অপেক্ষা যে পরম ধৰ্ম্ম আর নাই, এই শিক্ষা ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণের পর রামদাসস্বামীই ভারতকে শুনাইয়া গিয়াছেন। রামদাস সম্বন্ধে অনেক কিম্বদন্তী প্ৰচলিত