পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধু তুকারাম। RA তুকারামের বয়স মাত্ৰ ২০ বৎসর, আর যে স্ত্রী মারা গেলেন, তাহার নাম রুক্মিণী। বাকি থাকিলেন জিজাবাই। শুধু ইহাই নহে, এই বৎসরে শান্ত নামে একটি পুত্ৰও কালকবলে পতিত হইল। একে জনক, জননী, জ্যেষ্ঠভ্ৰাতৃবধু সকলে কালকবলে পতিত হইয়াছেন, তদুপরি স্ত্রী-পুত্ৰ সকলেই তাঁহার বুকে দারুণ শেল বিদ্ধ করিয়া পরলোকে প্ৰস্থান করিল, তুকারাম এই ব্যথা কি প্রকারে সহ করিবেন! ইতিপূর্বে র্তাহার জ্যেষ্ঠ ভ্ৰাতাও সংসার ত্যাগ করিয়া চলিয়া গিয়াছেন, তুকারাম এই নিদারুণ শোক সহ করিতে না পারিয়া নিজেও সংসার ত্যাগ করিবার সঙ্কল্প করিলেন। আবার এই সময়ে তঁহার সংসারে এরূপ ভীষণ অন্নকষ্ট উপস্থিত হইল যে, তিনি আর মানসম্ভীম লইয়া সমাজে বাস করিতে পারিলেন না। দুর্ভিক্ষের করাল ছায় তাহার উপর পতিত হইল। ধনহীন, মানহীন, নিঃসম্বল তুকারাম স্রোতের শৈবালের ন্যায় সংসার-সমুদ্রে ভাসিতে লাগিলেন। ব্যবসায় ছাড়িয়া তিনি পশু-পালনে মনোনিবেশ করিলেন, তাহাতেও তিনি আন্দেী অর্থলাভ করিতে পারিলেন না। তখন স্ত্রী-পুত্রের মায়া-মমতা তিনি পরিত্যাগ করিলেন। বিঠোবাদেবের মন্দির তাহার পূৰ্বপুরুষেরাই প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন, তিনি সেই মন্দিরে গিয়া কেবল ভগবৎ-সঙ্গীত করিতে লাগিলেন। মানুষ ঐশ্বৰ্য্যের সময় ভগবানকে एछांकूक स्त्रांद्र নাই ডাকুক, অভাবে পড়িলে তাহার হৃদয়তন্ত্রী ভগবৎনামে স্বতঃই নাচিয়া উঠে। তাই তুকারামের প্রাণের মধ্য হইতে যে ঐশ্বরিক সঙ্গীত বাহির হইতে লাগিল, তাহা দুঃখিত, ব্যথিত ভক্তের করুণ ক্ৰন্দন। সে সঙ্গীতে বুঝিবা পাষাণও বিগলিত হয়। তুকারাম ডাকিতেন, ठाकूव्र झुमि ना श्वांभ, क्क्रांद्र गांशंद्र, ऊदপারাবারের কাণ্ডারী ! যদি তাই হও ঠাকুর, তবে দীন দরিদ্র তুকারাম আজ অন্নাভাবে মরিতেছে কেন ? ঠাকুর কত পাপী তাপী তোমার