পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধু তুকারাম ቅዓዓ আমার ভালোর জন্য দুৰ্ভিক্ষ ভীষণ । মনের সকল সুখ করিল হরণ। আমার ভালোর জন্য মুখরা রমণী। আমাকে যাতনা দিত দিবস রজনী । ধন গেল, মান গোল হ’ল পশু ক্ষয়। আমার ভালোর জন্য ওহে দয়াময়।” সংসারে এইভাবে যাহা কিছু মন্দ তাহা ভাল বলিয়া গ্ৰহণ করিয়া কয়জনে আত্মতুষ্টি লাভ করিতে পারে ? “সুখেষু বিগতস্পৃহঃ দুঃখেয়ু ঘু দ্বিগ্নমনা”-ইহাই বা সংসারে কয়জন আছেন ? যে ব্যক্তি দুঃখকে দুঃখ বলিয়া মনে না করে, সংসারে ত সেই সুখী আর সেই তা সাধক। তুকারাম ভগবানে কত বড় আত্মনির্ভরশীল ছিলেন, ইহাই কি তাহার প্ৰকৃষ্ট প্ৰমাণ নহে? কামনা এবং বাসনার কি কখনও ক্ষয় আছে ? কামনা ও বাসনাকে সম্পূর্ণ বিসর্জন না দিলে কখনও শ্বাশ্বত শান্তি লাভ করা যায় না। তুকারাম সেই কামনা ও বাসনাকে সম্পূর্ণ জলাঞ্জলি দিয়াছিলেন । “ন জাতু কাম কামানং উপভোগেন শাম্যাতি । হবিষ কৃষ্ণবত্মেবি ভূয়া এবহি বৰ্দ্ধতে ॥” তুকারাম। একজন সাধকের অভঙ্গসমূহ অভ্যাস করিয়া তাহা ভজনা করিতেন। তার পর অভঙ্গ অভ্যাস করিতে করিতে তাহার কণ্ঠে সরস্বতী যখন আবিভূর্ত হইলেন, তখন তুকারাম নিজেই অভঙ্গ রচনা করিতে লাগিলেন। এখন অভঙ্গ জিনিষটি কি তাহা বলিতেছি। বাঙ্গালা দেশে যেমন পুরাণ-গান, দক্ষিণাত্যে তেমনি কথা-প্ৰণালী। মূল গায়ক দণ্ডায়মান হইয়া একটি পদ বা শ্লোক উচ্চারণ করেন। ইহাতে বক্তৃতার উদ্দেশ্য নিহিত থাকে। এই পদ,