পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Seby -Pfb বা শ্লোকটির মৰ্ম্ম শ্রোতৃগণের হৃদয়ঙ্গম করাইবার জন্য নানা গ্ৰন্থ হইতে বচন উদ্ধৃত হইয়া থাকে এবং নানাপ্রকার দৃষ্টান্তের উল্লেখ করা হয় ৷ মধ্যে মধ্যে কথক কোন পদ, তান-লয়সহ উচ্চারণ করেন এবং তঁহার সঙ্গিগণ তাহাতে যোগ দেন। সঙ্গীতের সহিত বাস্থ্যও থাকে, এমন কি স্থানে স্থানে পাখোয়াজ পৰ্য্যন্ত থাকে। দক্ষিণাত্যে দেবালয়সমূহে এইরূপ অভঙ্গ বা ভজন গান হইয়া থাকে। তুকারাম সবিশেষ প্ৰতিপত্তি লাভ করিতেছেন দেখিয়া ব্ৰাহ্মণগণের ঈৰ্য্যােনল প্ৰজ্জ্বলিত হইল। ব্ৰাহ্মণদিগকে প্ৰণাম না করিয়া শূদ্রগণ গিয়া তুকারামের চরণে প্ৰণাম করে এবং তুকারাম শূদ্র হইয়াও বেদ প্রচার করে, ইহা কি ব্ৰাহ্মণগণের সহ হয় ? তাহারা তুকারামকে দণ্ড দিবার জন্য জল্পনা-কল্পনা করিতে লাগিলেন। দেহু গ্রামে। তখন মম্বাজী নামে একজন গোঁসাই বাস করিতেন। তুকারামের প্রসার ও প্রভাব দেখিয়া তিনি জলিয়া পুড়িয়া মরিতেছিলেন। তিনি প্ৰতিদিন তুকারামের ভজনে যোগদান করিবার নিমিত্ত বিঠোবা মন্দিরে যাইতেন। দাক্ষিণাত্যে একাদশীব্ৰত সধবা বিধবা সকলেই পালন করে। ঐদিন সধবা বিধবা সকলেই ফলাহার করিয়া বিঠোবা মন্দিরে যাইত। গোসাইজীও যাইতেন । বিঠোবা মন্দিরের পশ্চাতে গোসাই ঠাকুরের জমি ছিল। পাছে কেহ সেই জমি দিয়া মন্দিরে আসে, এই আশঙ্কায় গোঁসাই একটি কঁাটার বেড়া দিয়া রাখিয়াছিলেন। কঁাটাগুলি বড় হইলে তুকারাম তাহা ছাটিয়া ছোট করিয়া দেন, ইহাতে ভক্তেরা অনায়াসে সেই বেড়া ডিঙ্গাইয়া মন্দিরে আসিতে পারিত। কিন্তু গোসাইজী এই কারণে তুকারামকে কঁাটা দিয়া এমন ভাবে প্ৰহার করিলেন যে, তাহার অঙ্গ ক্ষতবিক্ষত হইয়া গেল ; কিন্তু তুকারাম একটি কথাও বলিলেন না। ইহাতে গোঁসাইজী তুকারামের ধৈৰ্য্য ও স্থৈৰ্য্যগুণে এতটা মোহিত হইলেন যে, তিনি তুকারামের একজন পরম ভক্ত হইয়া পড়িলেন। কিন্তু