পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধু তুকারাম S ፃእ এইখানেই তুকারামের অগ্নি-পরীক্ষার শেষ হইল না ; পুনা নগরীর কিছু দূর উত্তর-পূর্বে ভাগোলি নামক গ্রামে রামেশ্বর ভট্ট নামক এক ব্ৰাহ্মণ বাস করিতেন। তিনি তুকারামের প্রভাব দেখিয়া ঈর্ষ্যানলে জলিয়া পুড়িয়া মরিতে লাগিলেন। জেলার শাসনকৰ্ত্তার নিকট তিনি তুকারামের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করিতে লাগিলেন। শাসনকৰ্ত্ত তুকারামকে দেহু গ্ৰাম হইতে বিতাড়িত করিয়া দিবার আদেশ করিলেন। তুকারামের কষ্টের আর অবধি থাকিল না। র্তাহার আহার জুটিত না, কেহ শাসনকৰ্ত্তার ভয়ে তাহাকে থাকিতেও জায়গা দিত না । এইরূপ অপার দুঃখ ভোগ করিতে করিতে তুকারামের সঙ্কল্প হ্রাস পাইল। তিনি ভাগোলি গ্রামে যাইয়া রামেশ্বর ভট্টের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিলেন। অনেকে তুকারামের এই প্রকার দৌর্বল্যকে তাহার ধৰ্ম্মজীবনের শৈথিল্যের কারণ বলিয়া মনে করেন ; কিন্তু মনে রাখিতে হইবে, মানুষের ধৈৰ্য্যের একটা সীমা আছে। মানুষ যতষ্ট কেন স্থির সঙ্কল্পে থাকিবার চেষ্টা করুক না, অভাব-অনটন ও অন্নকষ্ট এরূপ তীব্ৰ ভাবে তাহাকে আক্রমণ করে যে, সে সকল সঙ্কল্প পরিত্যাগ করিতে সে বাধ্য হয়। রামেশ্বর ভট্টের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিতেই রামেশ্বর ভট্ট র্তাহাকে বলিলেন, “যদি তোমার সমস্ত অভঙ্গ নদীতে ফেলিয়া দিতে পার, তবেই তোমাকে ক্ষমা করিতে পারি।” তুকারাম বড় মনোকষ্টে প্ৰাণাপেক্ষা প্ৰিয়তম অভঙ্গগুলি একটি পুটুলি করিয়া ইন্দ্ৰাণী নদীতে নিক্ষেপ করিলেন। অতঃপর কঁাদিতে কঁাদিতে তুকারাম বিঠোবা দেবের মন্দিরে গিয়া একখানি প্ৰস্তরখণ্ডের উপর ধর্ণ দিয়া পড়িয়া রহিলেন। একদিন দুইদিন করিয়া তেরদিন কাটিয়া গেল, তুকারাম একভাবে পড়িয়া থাকিয়া বিঠোবা দেবের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিতে লাগিলেন । প্ৰবাদ আছে যে, বিঠোবা দেব তুকারামের প্রার্থনায় সন্তুষ্ট হইয় তাহার অভঙ্গগুলি তঁহাকে ফেরত দিয়াছিলেন। তুকারাম একটি অভঙ্গে